স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৪ এপ্রিল কোচবিহারে তাঁর প্রথম সভা। এরপর টানা দেড়মাস রাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে ছুটবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগে রবিবার দাক্ষিণাত্য থেকেই তিনি নেমে পড়ছেন লোকসভা ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচারে। টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর আহ্বানে বিরোধী জোটের নেতাদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী স্টেডিয়ামে সভা। সেই সভায় অন্যতম মুখ হতে চলেছেন মমতা। বিশাখাপত্তনমের মাটি থেকেই উঠবে দিল্লি দখলের আওয়াজ।
[ আরও পড়ুন: বিজেপির হিন্দুত্ব ঠেকাতে ভোটে মমতাকে সমর্থনের আবেদন ইসকনের]
রবিবার দুপুরে বিশাখাপত্তনম পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। সেখানে এখন প্রবল গরম। তাই সভা হবে বিকেলে। সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা সোমবার। ইতিমধ্যেই বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো একত্রিত হতে শুরু করেছে। জোটের মুখ মমতা। ব্রিগেডে তাঁর ডাকে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন বিরোধীরা। ঠিক হয়েছিল, এই ধরনের সভা হবে দেশের সর্বত্র। বিরোধী নেতারা যে যাঁর মতো করে এই বিরোধী জোটের সভা ডাকবেন। যাবেন মমতা। প্রথমেই দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডাকে এই র্যালি হয়। প্রধান উপস্থিতি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার বিশাখাপত্তনমে চন্দ্রবাবুর ডাকে সভা। চন্দ্রবাবুর সঙ্গে মমতার সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। ধর্মতলায় মমতার ধরনা চলাকালীন ছুটে এসেছিলেন চন্দ্রবাবু। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সেই মঞ্চেই ঠিক হয়, প্রতিবাদ আরও জোরদার হবে। অন্ধ্রপ্রদেশে একই সঙ্গে বিধানসভার ভোটও। সেখানে চন্দ্রবাবুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা জগন্মোহন রেড্ডি। নতুন রাজ্য গঠিত হওয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। রাজধানী হিসাবে বিজয়ওয়াড়ার কাছে অমরাবতীতে উন্নয়নের কাজ চলছে। সারা রাজ্যেই এখন শিল্পায়ন এবং উন্নয়নের জোয়ার। হায়দরাবাদের পালটা হিসাবে চন্দ্রবাবু নায়ডু এই অমরাবতীকে গড়ে তুলতে চাইছেন। এর মধ্যেই ওই রাজ্যে বিরোধী ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাঁতের অভিযোগও উঠেছে। ফলে এবার নায়ডুর লড়াই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জেরও।
কলকাতায় ফেরার পর ৪ এপ্রিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু। তার পর যাাবেন অসম। সেখানে ধুবড়িতে তৃণমূলের সভায় যোগ দেবেন। ফিরে আবার আলিপুরদুয়ার থেকে টানা প্রচার। চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। শুক্রবার থেকে সেই পর্বেরই সূচনা হয়ে যাবে।