ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভা আপাতত বাতিল করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই দিন নন্দীগ্রামে কর্মিসভা হবে, তবে সেখানে থাকবেন না দলের সুপ্রিমো। তাঁর পরিবর্তে ওই সভায় থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। থাকতে পারেন অন্যান্যরাও। পরে ফের কবে নন্দীগ্রামে সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো, তা এখনও স্থির হয়নি।
প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে (Nanadigram) ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এতদিন এই দিনটিতে সরকারের তরফে উপস্থিত থেকে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করতেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তিনি নন্দীগ্রামের সদ্যপ্রাক্তন বিধায়কও। কিন্তু এ বছর সেই ছবি পালটেছে। তৃণমূলের সঙ্গে দু’দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করেছিলেন, এ বছর ৭ জানুয়ারি তিনি নিজেই নন্দীগ্রামের ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেইমতো ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দুর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, ভূমিপুত্রকে দিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে কাজে লাগাতে চায় গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যোগদান করানোর চেষ্টা! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পান্ডুয়ার বধূ]
তবে তৃণমূলের পরিকল্পনায় রদবদল হয়েছে। ওইদিন তেখালির মাঠে ‘শহিদ দিবসে’র মঞ্চ থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মাল্যদানের পর বক্তব্য রাখার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেরই। কিন্তু তা আপাতত বাতিল। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সভার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, সেই অখিল গিরি অসুস্থ। তাঁকে ছাড়া সভা সম্ভব নয়। তাই তা বাতিল করা হল। তবে দলের তরফে ওইদিন সুব্রত বক্সি থাকবেন অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি কর্মিসভা করবেন বলে খবর। এমনিতেও ওদিনের সভায় কাঁথির অধিকারী পরিবারের কোনও ভূমিকা না থাকার কথাই শোনা গিয়েছিল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অনুপস্থিত থাকবেন। ফলে ওই সভায় শিশির অধিকারী কিংবা দিব্যেন্দু অধিকারীর হাজির থাকা নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।