রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: একতরফা ভালবেসে বিয়ের প্রস্তাব। রাজি হয়নি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আর তার জেরে জীবনটাই চলে গেল তার! এমনই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) সুন্দলপুর এলাকায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুনের (Muder) পর থানায় আত্মসমর্পণ করল আততায়ী। মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা নিয়ে যান করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নদিয়ার হোগলবেরিয়া থানা।

জামশেদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ১৮ বছরের মেয়েটি। শনিবার সকালে প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময়ই ঘটে বিপদ। গ্রামের ব্রজেন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাকে ধারালো অস্ত্র (Sharp Weapon) দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ওই এলাকার ৪৫ বছরের বাসিন্দা ব্রজেন মণ্ডল এক বছর আগে ছাত্রীকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মেয়েটি। কিন্তু তাতে পিছু হঠেনি ব্রজেন। অভিযোগ, ক্রমাগত ছাত্রীর উপর বিয়ের (Marriage) জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণও করে ব্রজেন। সেসময় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আবার ছাত্রীকে সে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: মনোনয়নের শুরুতেই মৃত্যু, অশান্তি, বিজেপির নালিশের পরই রাজীব সিনহাকে তলব রাজ্যপালের]
শনিবার সকালে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে, হাতে ও কোমরে এলোপাথারি কোপ মারে। এরপরই এলাকার মানুষ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা। ঘটনার পর অভিযুক্ত হোগোলবাড়িয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ (Surrender) করে বলে জানা গিয়েছে। এরপর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ উদ্ধার করে আনা হয় করিমপুর থানায়, সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। ছাত্রীর এহেন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে পাথর পরিবার।