সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়া নিয়ে সন্দেহের জেরে স্বামীর হাতে খুন স্ত্রী। তরুণীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলেন মদ্যপ যুবক। আড়াই বছরের সন্তানও নৃশংস হামলা থেকে রেহাই পায়নি। তার পিঠে ছুরির কোপ বসায় অভিযুক্ত। গুরুতর আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কর্মসূত্রে স্ত্রী ও পুত্র-সহ কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) এসে থিতু হয়েছিল। সম্প্রতি সেখানেই মত্ত অস্থায় এই কাণ্ড ঘটায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
উত্তর-পূর্ব বেঙ্গালুরুর সরাইপাল্যার আফজাল লেআউট এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম শেখ সোহেল। ১৪ বছর আগে তবসিন ববির সঙ্গে বিয়ে হয় সোহেলের। আদতে কলকাতার বাসিন্দা সোহেল ২০১৩ সালে কাজের খোঁজে বেঙ্গালুরুতে আসে। কেজি হাল্লি এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল সে। দর্জির কাজ করত সোহেল। তাঁর আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে তবসিনের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সোহেলের। অধিকাংশ দিন ঝগড়া হত উভয়ের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে! আদানি ধামাকার পর ফের ‘হুঁশিয়ারি’ হিন্ডেনবার্গের]
এই অবস্থায় তবসিন বাপের বাড়ি চলে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। যদিও উলটো ঘটনা ঘটে। সোহেলই বেঙ্গালুরু ছেড়ে কলকাতা ফিরে যান। কিছুদিন পর সোহেলের কানে আসে, প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে তবসিন। একথা জানার পরেই সোমবার বেঙ্গালুরু ফেরে সোহেল। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় রাত ১১টা নাগাদ তবসিনের উপর হামলা চালায় সে। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এমনকী আড়াই বছরেরর নইমের পিঠেও ছুরির কোপ বসায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে গুরুতর আহত শিশুর।
[আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী মন্দার মাঝেই আশার আলো, চলতি বছরে ভারতীয়দের বেতন বাড়তে পারে ১০.২ শতাংশ]
তবসিনের বোন গুলসন বেগমের সামনেই খুনের ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সোহেল প্রাথমিকভাবে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে। তবসিনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।