অর্ণব দাস, বারাকপুর: শুক্রবার নৈহাটির বড়মার বিসর্জন দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জয়দেব মন্ডল(৩২)। তিনি স্থানীয় কেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই বড়মার বিসর্জন দেখতে নৈহাটি অরবিন্দ রোডে ভিড় করতে শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ। দধি করমার পর ঘট বিসর্জন হলে শুরু হয় বড়মার গয়না খোলা। এরপর প্রতিমায় ফুলের সাজে সাজানো শুরু হয়। বিকেল চারটের পর যখন ট্রলি টেনে মাকে গঙ্গার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্চিল তখন লাখো ভক্ত ভিড় করেছিল রাস্তায়। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বড়মাকে একবার দর্শন করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গঙ্গার ধারের বাড়ি গুলির ছাদে কার্নিশ বেয়ে উঠতে শুরু করে বহু মানুষ। সেই সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। সেই তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন পেশায় রিকশাচালক জয়দেব মণ্ডল।
[আরও পড়ুন: কাটমানি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ পুলিশ সুপারের]
খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে চিকিৎসক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে নৈহাটিজুড়ে। শোক প্রকাশ করে পার্থ ভৌমিক বলেন, “অরবিন্দ রোডে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। গঙ্গার ধারে পাশে একটি জায়গায় বড়মাকে দর্শন করতে বহু মানুষ পুরসভার শৌচালয়ের ছাদে উঠে পড়ে। সেখানেই তার ছিড়ে এই বিপত্তি ঘটেছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এবার যেভাবে বড়মার পুজোয় মানুষ ভিড় করেছেন তা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। আমাদের ভবিষ্যতে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে।”
নৈহাটি বড় কালী পূজা সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “বিসর্জনের দিনের এই ঘটনায় নৈহাটি বড়কালী পূজার সমিতির সকলেই শোকাহত। আমি নিজেও খুব ভেঙে পড়েছি। আগামীতে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই ব্যাপারে চেষ্ট করতে হবে।”