সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রোধ, প্রতিশোধের মতো হিংসাত্মক অনুভূতি মানুষকে গ্রাস করে ফেলল মারাত্মক ঘটনা ঘটেই থাকে। তাই এসব প্রবৃত্তি থেকে দূরে থেকে অন্তরের ইতিবাচক অনুভূতি দ্বারা জীবনে এগিয়ে চলাই প্রকৃত মনুষ্যত্ব। কিন্তু সবসময় কি আর তা হয়? তাই বাস্তবে শিউরে ওঠার মতো একাধিক ঘটনা ঘটে যায়। এমনকী তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণেও মানুষ খুন (Killing) করে ফেলে প্রিয়জনকে!
ঠিক যেমনটা ঘটল কেরলের (Kerala) পালাক্কাডে। রাগের চোটে স্ত্রীকে খুনই করে বসলেন স্বামী। কারণ অতি তুচ্ছ। ঘুম থেকে উঠে দাঁত না মেজেই ছেলেকে আদর করতে গিয়েছিলেন বাবা। তাঁকে বাধা দেন মা। বলেন, পরিচ্ছন্ন হয়ে তবেই ছেলেকে আদর করুন। আর স্ত্রীর এই আপত্তি শুনে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেনি স্বামী। ছোট্ট ছেলের সামনেই স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে আপাতত শ্রীঘরে বছর তিরিশের যুবক।
[আরও পড়ুন: জন্ম থেকে নেই দু’হাত, পা দিয়েই ব্ল্যাকবোর্ডে ম্যাজিক দেখান প্রাথমিক শিক্ষক জগন্নাথ]
ঘটনাস্থল পালাক্কাডের মান্নারকড়ের। বছর আঠাশের যুবতী দীপিকা আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে এই জায়গায় এসেছেন মাস দুয়েক হল। দীপিকার স্বামী অবিনাশ বেঙ্গালুরুতে থাকেন কর্মসূত্রে। দীপিকা ও তাঁর ছেলে সেখানেই থাকতেন এতদিন। সম্প্রতি মান্নারকড়ে চলে এসেছেন। স্ত্রী, পুত্রের সঙ্গে ছুটি কাটাতে অবিনাশও বেঙ্গালুরু থেকে চলে যান মান্নাকড়ে। সেখানে ছুটির আনন্দের মাঝেই ঘটে গেল এমন ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড (Murder)।
[আরও পড়ুন: ‘উদ্ধবের ইস্তফায় খুশি নই’, সঞ্জয় রাউতকে বিঁধে বার্তা শিব সেনার বিক্ষুব্ধদের]
ঘটনা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে উঠেই ব্রাশ না করেই আড়াই বছরের ছেলেকে চুমু খেতে গিয়েছিলেন অবিনাশ। দীপিকা তাতে আপত্তি জানান। স্বামীকে বলেন, দাঁত মেজে, মুখ ধুয়ে তবেই যেন ছেলেকে আদর করেন অবিনাশ। তাতেই খেপে গিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছেলের সামনেই স্ত্রীকে আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করে তোলেন। প্রতিবেশীরা গন্ডগোলের আঁচ পেয়ে সাড়ে নটা নাগাদ তাঁদের বাড়ি গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন দীপিকা। ছেলেটি ওই অবস্থায় মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে দীপিকার হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, দীপিকার মৃত্যু হয়েছে অনেকক্ষণ আগেই। ঘটনার পর অবিনাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত জেলবন্দি সে।