সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্ত্রী ও তার প্রেমিককে হাতেনাতে ধরে ফেলায় মর্মান্তিক পরিণতির শিকার যুবক। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপে (Stab) মৃত্যু হল স্বামীর। সোমবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা (Mahestala) পুরসভার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার ঘটনায় শিউড়ে উঠছেন সকলে। স্ত্রী ও প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার রেশমা বিবি এবং মহম্মদ শাহিদের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ঠিকঠাকই সংসার চলছিল। কিন্তু মাস তিনেক হল সাদ্দাম শেখ নামে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে রেশমা। বিভিন্ন অছিলায় বাড়ির বাইরে যাওয়ার নাম করে সাদ্দাম এবং রেশমা মেলামেশা করতো। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত (Extra marrital affair) সম্পর্কের কথা জানতে পারেন শাহিদ। তারপর থেকে স্ত্রীর উপর নজরদারি শুরু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: টুর্নামেন্ট চলাকালীনই বুলেটে ঝাঁজরা কবাডি খেলোয়াড়, ক্যামেরাবন্দি চাঞ্চল্যকর মুহূর্ত]
সোমবার রাতে রেশমা যখন বাড়ির বাইরে বের হন, তখন স্ত্রীর পিছু নেন শাহিদ। টুটার কলের কাছে একটি ঘরে শাহিদ এবং রেশমা দেখা করেন। তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন শাহিদ। অভিযোগ, ধরা পড়ে যাওয়ার পর রেশমা এবং সাদ্দাম আরও কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে শাহিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহিদের গলায় কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই শাহিদের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: বিদেশি আউট, ভারতীয় ইন! এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করল টাটা]
এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে দাবি করে রবীন্দ্রনগর থানার গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি একসময় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশকে ক্ষিপ্ত জনতাকে হঠাতে মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয়। শাহিদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম এবং রেশমাকে আটক করে রবীন্দ্রনগর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতির সামাল দেয়। অশান্তি এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রাখা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ভোজালিটিও।