বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার আগেই ৪ নম্বর ওয়ার্ডে যুবকের মৃত্যু ঘিরে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। মোটরবাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী এসে ৩২ বছরের এক যুবককে গুলি করে পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্থানীয়রা। টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তার উপর গাছ ফেলে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল কোচবিহার।
ঘটনা বুধবার সকালের। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কামেশ্বরী রোডের শান্তিনগর এলাকায় একটি সোনা-রুপোর গয়নার দোকান রয়েছে প্রাণতোষ সাহার। অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও সকালে দোকান খুলছিলেন তিনি। অভিযোগ, ঠিক সেই সময়েই বাইকে চেপে সেখানে হাজির হয় দুই যুবক। বন্দুক তাক করে ৩২ বছরের ওই ব্যবসায়ীর দিকে গুলি চালানো হয়। দিনেদুপুরে গুলির আওয়াজে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রাণতোষকে সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহারের MJN মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জের, মুর্শিদাবাদে প্রতিবেশীর গুলি-বোমায় প্রাণ গেল ২ জনের]
এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে চলে প্রতিবাদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ব্যবসায়ী বিজেপি কর্মী ছিলেন। শাসকদলের তরফেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তৃণমূল আবার পালটা দাবি করে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবিরকেই।
তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, ভোটের মরশুমে কোচবিহারে বারবার অশান্তির ঘটনা ঘটছে। বিজেপিই অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এদিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও মূল দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
[আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জের, মুর্শিদাবাদে প্রতিবেশীর গুলি-বোমায় প্রাণ গেল ২ জনের]
উল্লেখ্য, আজই কোচবিহারে জোড়া সভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কোচবিহার উত্তর এবং শীতলকুচিতে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগেই উত্তাল কোচবিহার।