সুমন করাতি, হুগলি: চাষিদের থেকে আলু কিনে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। রাস্তাতেই গাড়ির মধ্যে আলু রাখা নিয়ে বচসা শুরু হয়। আর তার জেরেই পিটিয়ে মারা হল ওই ব্যক্তি। শনিবার হোলির রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বর থানার পাঁচগেছিয়া এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আততায়ীদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।

মৃতের নাম রাখালচন্দ্র ঘোষ (৬০), বাড়ি রামচন্দ্রপুরে। জানা গিয়েছে, পাঁচগেছিয়া থেকে আলু কিনে পিসায়ার দিকে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। ইঞ্জিন ভ্যানে আলুর বস্তা রাখা হয়েছিল। সেই বস্তা রাখা নিয়েই বচসা শুরু হয় পাঁচজন যুবকের সঙ্গে। বচসা চলাকালীন ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। বচসা আরও বাড়লে ইঞ্জিন ভ্যানের হ্যান্ডেল দিয়ে রাখালচন্দ্র ঘোষের মাথায় আঘাত করা হয়। উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার পরই অভিযুক্ত শ্যামল মালিক, উমেশ রুইদাস, উত্তম রুইদাস, বিশ্বজিৎ রুইদাস, মনোহর রুইদাস এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁদের বাড়ি পাঁচগেছিয়ার রুইদাস পাড়া এলাকায়।
তারকেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে আশপাশের এলাকায়। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, "আলু রাখা নিয়ে একটা বচসা হয়। আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি, চার-পাঁচজন মিলে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। নামগুলোও জানতে পেরেছি আমরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করব আমরা।" মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের দাবি তুলেছেন এখানকার লোকজন। সেই দাবিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।