সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে বিয়ে হয়নি। এরপর প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে হলে স্বাভাবিক ভাবেই সম্পর্ক শেষ করে দেন প্রেমিকা। তারপরই রেগে গিয়ে তাঁকে খুন (Murder) করে দেহ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল বিবাহিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রানিপুর এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। খুনের ৬ দিন বাদে ওই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তের নাম পুনীত। তিনি উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে। গত ২৬ জুলাই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। এর আগে তাঁর বাবা-মা নিখোঁজ ডায়রি করেন পুলিশে। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই শনাক্ত করা হয়, ওই পচাগলা দেহ নিখোঁজ তরুণীরই।
[আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্ক সাফাই করতে নেমেছিলেন, দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ৩ শ্রমিক ও গৃহকর্তার]
তদন্ত যত এগোয়, তত পুনীতের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকে। জানা যায়, তাঁরা বহুদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু ভিন্ন জাতির হওয়ার কারণে দু’জনের পরিবারই বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিল। এর মধ্যেই পুনীতের সঙ্গে অন্য একজনের বিয়ে হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু বিয়ের পরও প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে জোরাজোরি করতে থাকেন পুনীত। শেষ পর্যন্ত তরুণী ফোন নম্বরও বদলে ফেলেন।
এরপরই ক্রুদ্ধ পুনীত তরুণীকে একবার দেখা করার প্রস্তাব দেন। তারপর তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহ লুকিয়ে রেখে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।