সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্রিজে গোমাংস রাখার অভিযোগে প্রাণ গিয়েছিল মহম্মদ একলাখের৷ স্থানীয় এক পরীক্ষাগারে মাংসের নমুনা পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, গোমাংস নয় আসলে তা ছিল খাসির মাংস৷ স্রেফ অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ৷ এবার সেই দাদরি-কাণ্ডেই এল নয়া মোড়৷ মাংসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল আর এক ল্যাবরেটরিতে৷ সেই ফলাফলের রিপোর্টে জানা গিয়েছে গোমাংসই ছিল একলাখের ফ্রিজে৷
গত সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে ঘটে ওই ঘটনা৷ বাড়ির ফ্রিজে গোমাংস রাখার অভিযোগে মহম্মদ একলাখের বাড়িতে চড়াও হয় জনা একশো লোক৷ তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক মারধর করা হয়৷ গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় একলাখের৷ সেই সময় স্থানীয় এক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দাদরি পুলিশ জানায়, ফ্রিজে গোমাংস ছিল না৷ ছিল খাসির মাংস৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় সারা দেশ৷ রাজ্যের শাসক দল সমাজবাদী পার্টির তরফে জানানো হয়, ঘটনার জন্য দায়ী বিজেপি সমর্থকরা৷ যে দশজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ তাঁদের মধ্যে ছিল এক বিজেপি নেতাও৷ পুরো ঘটনায় সারা দেশে সমালোচনার ঢেউ ওঠে৷ অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন মাথাচাড়া দেয় নতুন করে৷
কিন্তু ঘটনা নয়া মোড় নিল সম্প্রতি৷ তদন্তের খাতিরে একলাখের বাড়ির ফ্রিজে রাখা মাংসের নমুনা নতুন করে পরীক্ষা করতে পাঠায় পুলিশ৷ সেই পরীক্ষার ফলাফলে জানা গিয়েছে, গোমাংসই ছিল ফ্রিজে৷ যদিও এই নতুন রিপোর্ট নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে একলাখের পরিবার৷ “পুলিশ আগে বলেছিল খাসির মাংস৷ এখন বলছে গোমাংস৷ সেদিন বাড়িতে যা খাওয়া হয়েছিল তাতে গোমাংস থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না৷ পুরোটাই রাজনীতি চলছে৷”, বলেন একলাখের ভাই চাঁদ মহম্মদ৷
দাদরি কাণ্ডে অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে বেশ কোণঠাসা হয়েছিল বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার৷ এই ফলাফলে খানিকটা স্বস্তি বিজেপি শিবিরে৷ তবে ফলাফলের এই একশো ডিগ্রি উল্টে যাওয়ায় রাজনীতির ছায়া দেখছেন অনেকেই৷
The post দাদরি-কাণ্ডে নয়া মোড়, ফ্রিজে ছিল গোমাংসই appeared first on Sangbad Pratidin.