সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য হলেই তাঁকে অপরাধী হিসাবে ধরে নেওয়া যায় না। ২০১১ সালে এমনই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু ১২ বছর পরে সেই রায় খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ইউএপিএ (UAPA) আইন অনুযায়ী বিচার হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানা যায়নি সেই সময়ে। সেই জন্য ওই রায় সংশোধন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ নতুন করে রায় ঘোষণা করেন। শুক্রবার এই বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়া আইন ও সমাজের পক্ষে হিতকর ছিল না। ভারতীয় সংবিধানের ১০ এ ধারা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের মত, এই ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকা ইউএপিএ আইন অনুযায়ী অপরাধ।
[আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া সার্টিফিকেটকে মান্যতা আদালতের, সর্বত্র গ্রহণ করার নির্দেশ]
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বলে, নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য মানেই কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অপরাধীর তকমা দেওয়া যায় না। যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলেই অপরাধী হিসাবে তাঁকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই রায়কেই বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। নতুন রায় অনুযায়ী, নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেই শাস্তি পাবেন সমস্ত সদস্যরা।
আদালতের মতে, এই রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ ছিল না। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার এই রায় নিয়ে কোনও মতামত জানানোর সুযোগ পায়নি। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়াও একাধিক হাই কোর্টের রায়কেও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ঐতিহাসিক এই রায়ের ফলে ভারতের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।