সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণত গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত হন পুরুষরা। কিন্তু বেশকিছু ক্ষেত্রে যে পুরুষরাও ‘নির্যাতিত’ হন, ঘরের অশান্তিতে নাজেহাল হতে হয় তাদের, সেই কথাই বুঝিয়ে দিলেন ওঁরা। এই জন্মের স্ত্রীকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ওঁরা চান না পরের জন্মেও এই বউ থাকুক। এমন ভাবনার একদল বিবাহিত পুরুষ অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। সেই খবর ছড়াল গোটা দেশে। কেমন অভিনব বিক্ষোভ?
আসলে ঘরে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই আছে, এমন একদল পুরুষ বেশ কয়েক বছর আগে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে (Aurangabad) একটি ‘শান্তি’ আশ্রম গড়ে তুলেছিলেন। নাম দেন ‘পত্নী পীড়িত’ আশ্রম। ওই পুরুষের দলই সোমবার অভিনব প্রতিবাদ দেখালেন। একটি অশ্বত্থ গাছকে ঘিরে ঘড়ির কাঁটার উলটো অভিমুখে ১০৮ বার ঘোরেন তাঁরা। পুজো করেন গাছটিকে, এইসঙ্গে প্রার্থনা করেন, পরের জন্মে যেন এমন স্ত্রী পেতে না হয়।
[আরও পড়ুন: দশমের পরীক্ষায় অঙ্কে ৩৬, ইংরাজিতে ৩৫ পেয়েও পরবর্তীতে IAS অফিসার! মার্কশিট দেখে তাজ্জব নেটদুনিয়া]
অভিনব আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ভরত ফুলেরা (Bharat Fulare) জানান, স্থানীয় অঞ্চলে ‘ভাট পূর্ণিমা’ নামের একটি রীতি পালিত হয়। যা মূলত বিবাহিত মহিলারা পালন করেন। মঙ্গলবার সেই ‘ভাট ফুলেরা’র দিন। এদিন গৃহবধূরা বটগাছকে পুজো করেন এবং প্রার্থনা করেন- আগামী সাত জন্মে যেন এমন স্বামীই মেলে। তার ঠিক একদিন আগে সম্পূর্ণ উলটো রীতি পালন করলেন ‘নির্যাতিত’ পুরুষের দল। একটি অশ্বত্থ গাছের চারপাশে ১০৮ বার ঘুরে তাঁদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। প্রার্থনা করলেন, এমন বিয়ে যেন আগামী জন্মে না হয়, এমন বউ যেন আর পেতে না হয়। এই বিষয়ে আইন আনারও দাবি তোলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: গুনে গুনে চার হাজার টাকা নিয়ে চুরির বাকি সব ফেরত! চোরের কাণ্ডে হতবাক গৃহকর্তা]
‘পত্নী পীড়িত’-এর পক্ষে ভরত ফুলেরা বলেন, “মেয়েদের ক্ষমতা দিতে এখন হাজারও আইন হয়েছে। কিন্তু ব্যাপকভাবে এর অপব্যবহার হয়ে চলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিবাহিত পুরুষদের জন্যও তেমন আইন দরকার। যাতে করে তাঁদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়েরও সঠিক বিচার হয়। যাতে করে তাঁরাও খারাপ স্ত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন।