সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ যতই ঘৃণ্য হোক। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হলে এবার থেকে তাঁর মানসিক অবস্থাও খতিয়ে দেখতে হবে। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আগে অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মধ্যপ্রদেশের তিন চোরের আবেদনের ভিত্তিতে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ফাঁসির সাজা কার্যকর করার আগে অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) যাচাই করতেই হবে। শুধু তাই নয়, জেলে তার আচরণ কেমন ছিল সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে প্রশাসনকে। যে মামলার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে, সেই মামলাতেও তিন অভিযুক্তের মৃত্যু দণ্ড খারিজ করে তাদের সাজা ২৫ বছর কারাবাসে পরিবর্তন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টি মাথায় ফের স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভে নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি]
আসলে, অভিযুক্ত এই তিন ব্যক্তি ২০১১ সালের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে চুরি করতে গিয়ে তিন মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ছিল। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট তাদের এই অপরাধকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে ফাঁসির সাজা শোনায়। কিন্তু জেলে থাকাকালীন অভিযুক্তদের ভাল আচরণের এবং মানসিকভাবে শুধরে যাওয়ার প্রবণতা দেখে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফাঁসির সাজা খারিজ করে দিয়েছে। ওই তিন অভিযুক্ত ২৫ বছর কারাবাসের সাজা কাটিয়েও মুক্তি পেয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় বসে বেআইনি অস্ত্র কারবার! গভীর রাতে পুলিশি তল্লাশিতে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার ১]
বিচারপতি ইউ ইউ ললিত (U U Lalit), বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রসঙ্গে ১৯৮০ সালের ঐতিহাসিক বচ্চন সিং বনাম পাঞ্জাব সরকার মামলার উল্লেখ করে। সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কাউকে ফাঁসির সাজা শোনানোর আগে মোট ৭টি বিষয়ে নজর রাখা দরকার। যার মধ্যে তার মানসিক পরিস্থিতি এবং শুধরে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা সেটাও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। সেই রায়ের উপর ভর করেই শীর্ষ আদালত এই নতুন গাইডলাইন তৈরি করেছে। যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এখন থেকে ফাঁসির সাজা কার্যকর করার আগে অভিযুক্তের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাধ্য থাকবে প্রশাসন।