নিরুফা খাতুন: সত্যি হল আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। শুক্রবার সকালেই বেশ কয়েকটি জেলায় দেখা গেল আকাশের মুখভার। কোথাও বৃষ্টিও পড়ল ছিঁটেফোঁটা। তবে এদিনই মাঝারি বা হালকা বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির দেখা মিলবে শনিবার ও রবিবার, এমনটাই খবর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। অত্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। শনিবার পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। মূলত পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে শনিবার তাপপ্রবাহ হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামিকাল। বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায়। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আর তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকবে না। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি এবং সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
[আরও পড়ুন: রবিবারই স্বস্তির বৃষ্টি বাংলায়? গরম থেকে মুক্তির আশায় মহা শান্তি যজ্ঞের আয়োজন নদিয়ায়]
ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। শনিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
প্রসঙ্গত, উত্তর বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পূর্ব বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর টানে দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। আর অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিমের শুকনো বাতাস ও গরম বাতাস। এই দুইয়ের সংস্পর্শে বা সংঘাতে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। তারপর থেকে ক্রমশ তাপমাত্রা বাড়বে। চারদিনে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।