নব্যেন্দু হাজরা: সকাল থেকে কাঠফাটা রোদ। ঘরের ভিতরে তীব্র অস্বস্তি। পাখার নিচে থাকলেও যেন শান্তি নেই। গরমে ত্রাহি ত্রাহি রব। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। শনিবারের মতো রবিবারও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিতে (Thundershower) ভিজতে পারে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পারে। মিলতে পারে সাময়িক স্বস্তি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সকালের দিকে তীব্র রোদ থাকবে। তবে দুপুরের পর থেকেই বদল হবে আবহাওয়ার। শনিবারের মতো আচমকা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যেতে পারে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। শনিবার দুপুরেও ঠিক একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাজ্যের মাত্র কয়েক জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়। গতকালের বৃষ্টি তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে পারেনি কাউকেই। যদিও বাজ পড়ে প্রাণহানি হয়েছে বেশ কয়েকজনের। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের হিঞ্জাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূও রয়েছেন। বাড়ির উঠোনে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় বছর ছত্রিশের গৃহবধূ চন্দনা দাসের। রবিবারে আদৌ স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মেলে কিনা, সেদিকেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছে আমজনতা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনাজয়ীর সংখ্যা ছাড়াল ১১ লক্ষ, সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণও]
এদিকে, ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকেই শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল ঘূর্ণিঝড়টির। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ২৫ তারিখ থেকে তাণ্ডব শুরু করবে। ওইদিন থেতে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। তবে ‘যশ’ কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘যশ’ মোকাবিলায় কোমর বেঁধে লেগেছে প্রশাসন। ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতা পুরসভায় আলাদা কন্ট্রোলরুম খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিও বৈঠকে দফায় দফায় আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সমস্ত পুরকর্মীর ছুটি বাতিল হয়েছে আগামী সপ্তাহে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ছুটি বাতিল বিপর্যয় মোকাবিলা ও পুলিশের। নবান্নের পাশে উপান্নেও একটি কন্ট্রোলরুম তৈরি হচ্ছে। এই কন্ট্রোলরুমেই ২৫ ও ২৬ তারিখ সারারাত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে শনিবার দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক এবং আধিকারিকরা।