সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনার অবসান। অবশেষে তৃণমূল ছাড়লেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ঘাসফুল ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্মশিবিরে।
শেষ কিছুদিন আগেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর (Mihir Goswami)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দল ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। বারবার দলের নেতা-মন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। দলের তরফে প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে একাধিক নেতা কথা বলেন মিহিরবাবুর সঙ্গে। তাঁর মানভঞ্জনের পালা চলে।
এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে আসে বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মিহির গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা। তখন থেকেই শুরু কানাঘুষো। অনেকের মনেই ধারণা তৈরি হয়, সাংগঠনিক পদত্যাগের পাশাপাশি এবার মিহিরবাবু দলবদলও করতে চলেছেন। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই জল্পনাকে প্রশ্রয় দেননি বিধায়ক। বরং বারবারই জানিয়েছেন, দলবদল নিয়ে কখনওই কিছু ভাবেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের প্রতি অভিমান ব্যক্ত করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বিধায়ক। সেখানেই লেখেন, “আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।”
[আরও পড়ুন: ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অগ্নিমিত্রা পলের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের]
স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের এই পোস্টকে কেন্দ্র করে জল্পনা শুরু হয় বৃহস্পতিবারই। এই পরিস্থিতিতেই আচমকা ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ছাড়েন মিহিরবাবু। শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে একটি ছবিতে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা যায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ওই বিধায়ককে। গুঞ্জন শুরু হয়, সাংসদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন বিধায়ক। উদ্দেশ্য, জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাত। তখনই সকলের মনে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়, আজই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বিধায়ক। সেই ধারণাতেই পড়ল সিলমোহর। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক। উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন মিহিরবাবু।
একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ ও মিহির গোস্বামীর দলত্যাগ কতটা প্রভাব ফেলবে তৃণমূল শিবিরে? তা বুঝতে আরও বেশ কিছুদিনের অপেক্ষা।