অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিগত একমাসে টিটাগড় (Titagarh) এলাকায় পর পর কয়েকটি খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছিলই। এরই মাঝে বুধবার ভরসন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে টিটাগড় উড়নবাজারে প্রাণ গিয়েছে আরও এক যুবকের। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমি এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করি না। আমি সবসময় বলে এসেছি ‘নো ক্রাইম, নো ক্রিমিনাল’। দুষ্কৃতীরা খুন করে জেলে যাওয়ার কয়েকমাস পরই আবার জামিন পেয়ে যায়। ফিরে তারাই আবার অপরাধ করে। কারণ, তাদের ধারণা জেলে গিয়ে আবার জামিন পেয়ে যাব। তাই সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি মনে করি বিচারব্যবস্থা আরও শক্ত এবং কঠিন হওয়া দরকার।” তিনি আরও বলেন, পুলিশকে বলব উড়নপাড়া এলাকায় বিশেষভাবে নজর রাখতে।
[আরও পড়ুন: বিজয়া সম্মিলনীতে গোপন ষড়যন্ত্র তৃণমূল বিধায়কের! ফাঁস করল মাইক্রোফোন]
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই ছিলেন বছর তেত্রিশের মহম্মদ হাসান ওরফে ছোটকা। অভিযোগ, তখন দুই দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি তাঁর মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত হোসেন রাজা ওরফে আরমান এবং মহম্মদ কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এই খুনের নেপথ্যে মাদক বিক্রি নিয়ে লড়াইকে দায়ী করেন।
যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর তিনেক আগে পারিবারিক কোনও বিষয় নিয়ে আরমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন ছোটকা। এর পর আরমানের সন্তান শারীরিক কিছু সমস্যা নিয়ে জন্মায়। আরমানের ধারণা হয় এর জন্য দায়ী ছোটকা। এই কারণেই খুন বলে জেরায় ধৃত জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতের বয়ান যাচাই করা হচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।