সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। সম্প্রতি সেখানে খ্রিস্টানদের উপরে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও লাহোরে এক মসজিদ থেকে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে হামলার উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এদিন সকালে বহু খ্রিস্টানকে পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে দেখা গিয়েছে।
দাবি, লাহোরের শেখপুরার এক মসজিদ থেকে উসকানি দেওয়া হয় খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলা করার। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। ৪০০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে স্থানীয় চার্চে। এদিকে ফয়সলাবাদের এক চার্চেও (Christian churches) নাকি উর্দুতে রীতিমতো হুমকির সুরে লেখা হয়েছে ‘আমরা এসে গিয়েছি’। এরপর সেই এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ড: কলকাতাতেই হবে জিজ্ঞাসাবাদ, দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে মলয়]
উল্লেখ্য, গত মাসে পূর্ব পাকিস্তানে চার্চ ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। পুলিশের দাবি, গুজব ছড়ানোর পরই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, ভাঙা পড়েছে ৮৭টি বাড়ি। তাঁদের জিনিসপত্র রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আগুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৯টি চার্চ। ইতিমধ্যেই ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যেই ফের উত্তেজনা ছড়াল।
এর আগে পাঞ্জাব প্রদেশের ৩ হাজার ২০০টি চার্চে পুলিশ প্রহরা রাখা হয়েছিল। পাক সরকার ও ধর্মীয় নেতারা সকলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। বহু খ্রিস্টানকেই ভিডিও করে সাহায্য চাইতে দেখা গিয়েছে।