সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সম্পর্কের টানাপোড়েনে যুবকের আত্মহত্যা। তাঁর প্রেমিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মৃতের হাত দিয়ে সিঁদুর পরানোর অভিযোগ উঠল মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানিও (Molest) করা হয় বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ নাবালিকার মা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বয়স ২০ বছর। আদতে মেমারির (Memari) বাসিন্দা হলেও পূর্ব বর্ধমানের কাটাপুকুর এলাকায় ভাড়া থাকত সে। ওই এলাকারই বাসিন্দা এক নাবালিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবক। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার। নাবালিকার মা কোনওভাবেই এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিলেন না। এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল। এসবের মাঝেই গত ২৯ মে আত্মঘাতী (Suicide) হন ওই যুবক। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এদিকে ছেলের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। প্রেমিকার কারণেই যুবকের এই পরিণতি বলে দাবি করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর বাইরে অনলাইনেও অনুষ্ঠান নয়, অধ্যাপকদের জন্য ‘ফতোয়া’ জারি সংগীত ভবনের]
অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর যুবকের দেহ এলাকায় আনা হলে নাবালিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে সেখানে নিয়ে যায় মৃতের পরিবার ও বাড়ির মালিক। সেখানেই মৃতের হাত দিয়ে সিঁদুর (Sindoor) পরানো হয় তাঁর প্রেমিকাকে। পরানো হয় শাখা-পলাও। এরপর নিয়ম মেনে তা ভেঙে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয় সিঁদুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে আনতে সেখানে গেলে তাঁকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাঁর মেয়েকে মারধর ও শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।