সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি কেবল ইসলামিক দেশগুলির কথা শোনেন। কিন্তু তাঁর দেশের মুসলিমদের কথা শোনেনই না। হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কিত মন্ত্যবের জেরেই এই কথা বলেছেন এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। মধ্য প্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলি ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পরেই নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই কথার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের একটি সভায় মোদিকে কটাক্ষ করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় মুসলিমদের কথায় পাত্তা দেন না। ভারতের নাগরিকদের কথা কর্ণপাত করেন না তিনি, সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট আমরা। বিদেশের মানুষ যখন এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন, তারপরে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হল।” তবে এদিনের সভায় নূপুর শর্মা বা নবীন জিন্দলের নাম করেননি ওয়েইসি। কিন্তু বলেছেন, হজরত মহম্মদকে নিয়ে যাঁরা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা উচিত। দীর্ঘমেয়েদি শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ফলছে না ফসল, খাদ্য সংকটে জেরবার দেশ, সার কেনার জন্য ভারতের কাছে ঋণ চাইল শ্রীলঙ্কা]
ওয়েইসি বলেছেন, “যদি আপনাদের মনে হয় টুইটগুলি ভুল ছিল, তাহলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা উচিত সরকারের। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা দরকার। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হলেই ন্যায় বিচার করা হবে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমি যদি এখন প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মানজনক কথা বলি, কাল থেকেই আমাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাবে বিজেপি। কিন্তু মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পরে দশ দিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এই বক্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। যেই ইসলামিক দেশগুলি প্রতিবাদ জানালো, তারপরেই পদক্ষেপ করল বিজেপি।”
প্রসঙ্গত, জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নূপুর শর্মাকে। টিভি শোয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। খুনের হুমকি পাচ্ছেন তিনি, এমনটাও জানা গিয়েছে। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে কড়া নিন্দার মুখে পড়েছে ভারত। কুয়েতের সুপারমার্কেটে বয়কট করা হয়েছে ভারতীয় পণ্য। ভারতীয় কূটনীতিকদের ডেকে জবাব তলব করা হয়েছে।