সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে বিরাট ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে। করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন তারকা পেসার মহম্মদ শামি। শুক্রবার রাতেই জানা যায় যে শামির (Mohammad Shami) করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে একদমই মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। দ্রুত সুস্থ হবেন ভারতীয় পেসার। আশা করা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাঁকে পাওয়া যাবে।
শামির জায়গায় উমেশ যাদবকে (Umesh Yadav) জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। যা রীতিমতো চমকপ্রদ। ৩৫ বছর বয়সি এই পেসার শেষবার জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ খেলেছিলেন ২০১৯ সালে। তারপর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের ত্রিসীমানায় ছিলেন না উমেশ। কিন্তু গত আইপিএলের (IPL) প্রথম পর্বটি বেশ ভাল গিয়েছিল কেকেআর তারকার। তারপর সেখান থেকে তিনি চলে যান ইংলিশ কাউন্টিতে। সেখানেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখান। যদিও কাউন্টি টুর্নামেন্টের মাঝপথে চোট পেয়ে দেশে ফিরতে হয় উমেশকে। এই মুহূর্তে এনসিএসতে রিহ্যাব করছেন তিনি। সেখান থেকেই জাতীয় দলে যোগ দেবেন। ৩৫ বছর বয়সে জাতীয় দলে উমেশের এই কামব্যাক রীতিমতো চমকপ্রদ। যদিও এখনও সরকারিভাবে উমেশের নাম ঘোষণা করেনি বিসিসিআই (BCCI)।
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢুকে যেতে পারেন মহম্মদ শামি, ইঙ্গিত দিলেন খোদ জাতীয় নির্বাচক]
শামির এই ছিটকে যাওয়াটা তাঁর নিজের জন্যও বড় ধাক্কা। বিশ্বকাপের দলে তাঁকে স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছে। যা নিয়ে প্রাক্তনরা রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তবে মহম্মদ শামিকে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে রাখা হয়েছিল। অনেকেই মনে করছিলেন বিশ্বকাপের আগে এই দুটো সিরিজ শামির কাছে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এখানে ভাল খেলতে পারলে বিশ্বকাপের দরজা তাঁর জন্য খুলে যেতেও পারে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক জাতীয় নির্বাচক তো জানিয়েই দিয়েছেন, “শামির দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নজর রাখা হবে। ওকে ভাল বল করতে হবে। পরে যদি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া কোনও পেসার চোট পান, তাহলে শামিকেই দলে ডেকে নেওয়া হবে।” স্ট্যান্ড বাই হিসাবে আরেক পেসার হিসাবে রয়েছেন দীপক চাহার (Deepak Chahar)। কিন্তু বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে চাহারের থেকে এগিয়েই আসছেন বাংলা দলের পেসার।
[আরও পড়ুন: সৌরভ না জয় শাহ? কে হবেন বিসিসিআইয়ের পরবর্তী সভাপতি? শুরু অঙ্ক কষা]
যে দুটি সিরিজে শামির বিশ্বকাপ ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার কথা ছিল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই দুটি সিরিজের মধ্যে একটি থেকেই ছিটকে গেলেন তিনি। যদিও বিসিসিআই আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে যাবেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার।