শুভজিৎ মণ্ডল: বাঙালির আবেগের ডার্বি। রবিবার এই মরশুমে প্রথমবার চিংড়ি-ইলিশের লড়াই। অাপামর ফুটবলপ্রেমী বাঙালির জন্য দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে যাওয়ার দিন। প্রতি বছরই ডার্বির আগের দিন দুই প্রধানের অনুশীলনে ভিড় উপচে পড়ে স্টেডিয়ামে। ডার্বির আগে শেষবারের অনুশীলনে রীতিমতো মিনি-ম্যাচের ছবি তৈরি হয় স্টেডিয়ামে। দূর-দূরান্ত থেকে সমর্থকরা আসেন অনুশীলন দেখতে। মহারণের আগে নিজেদের ফুটবলাররা কতটা প্রস্তুত কী হতে পারে কোচের স্ট্র্যাটেজি, এসবই শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেওয়ার বাসনা তো থাকেই।
[ডার্বিতে গোল পেলে হেনরিকে উৎসর্গ করবেন ডিকা]
কিন্তু এবছরের ছবিটা এক্কেবারে আলাদা। প্রত্যেক ডার্বির আগে যেভাবে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে স্টেডিয়ামে, এবার তেমন কিছুই ছিল না। যে গুটিকয়েক সমর্থক মাঠে হাজির ছিলেন তারাও গিয়েছিলেন টিকিট পাওয়ার আশায়। কিন্তু বড় ম্যাচের আগে ক্লাব তাবুতে কেন এই নজিরবিহীন নীরবতা? প্রশ্ন করায় সমর্থকদের থেকে প্রত্যাশিত উত্তরই মিলল। টিকিটের আকাল। মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচের আগে ময়দানে রীতিমতো টিকিটের হাহাকার। দুদিন ধরেই ময়দানের অলিতে গলিতে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার ফোরামগুলিতে কান পাতলে খালি একটি প্রশ্নই শোনা যাচ্ছে, দাদা একটা টিকিট হবে?
শনিবার ক্লাব তাবুতে কান পেতে একই প্রশ্ন প্রতিধ্বনিত হল বারবার। কেউ আইএফএ সচিবের মুণ্ডপাত করছেন তো কেউ মোহনবাগান ফুটবল সচিবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। সবার একটাই অভিযোগ, আইএফএ তথা মোহনবাগানের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তাদের অব্যবস্থার জন্যই টিকিট মিলছে না। একই ছবি ইস্টবেঙ্গলেও। ডার্বি আগে শেষ অনুশীলন সুভাষ ভৌমিক রেখেছিলেন যুবভারতীতেই। মোহনবাগান তাবুর মতো যুবভারতীতেও অদ্ভুত একটি নীরবতা চোখে পড়ল। এর মধ্যে আবার নিয়মের বালাই আছে অনেক। আগামিকাল ডার্বি ম্যাচে ১, ২, ৫ নম্বর গেট ইস্টবেঙ্গলের জন্য। ৩, ৩এ এবং ৪ নং গেট মোহনবাগান দর্শকদের জন্য। ৬ নম্বর গেট বন্ধ থাকবে। দর্শকদের জন্য জলের প্যাকেট-সহ অন্যান্য থাকবে বলে জানিয়েছে আইএফএ।
[অবশেষে ইস্টবেঙ্গলে সই অ্যাকোস্টার, ডার্বিতেই অভিষেক বিশ্বকাপারের]
এদিন সকাল থেকে মোহনবাগান তাবুতে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের কর্তারাই এসেছিলেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য দুই শিবিরের কর্তাদের কাছেই হাত পেতেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারলেন না কেউই। পারবেনই বা কী করে? আইএফএ তো আগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আর টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। আশ্চর্যজনকভাবে সে বিষয়ে উপযুক্ত তথ্য নেই সমর্থকদের কাছে। তারা নিজেদের প্রতিদিনের কাজ ফেলে চলে এসেছেন ক্লাব তাবুতে। কিন্তু টিকিট কই? এ তো শুধু নীরবতা, আর টিকিটের হাহাকার।
The post ডার্বির আগের দিন দুই প্রধানের অনুশীলনে আশ্চর্য নীরবতা, কিন্তু কেন? appeared first on Sangbad Pratidin.