প্রসূন বিশ্বাস: সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়েছে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার রাতে ফাজিলা ইকুয়াপুটদের স্বাগত জানাতে কয়েকশো ইস্টবেঙ্গল সমর্থক লাল হলুদ পতাকা, ব্যানার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। সুলঞ্জনা রাউলরা ট্রফি নিয়ে বাইরে আসতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। সোমবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে পতাকা উত্তোলন পর্বে উপস্থিত হন লাল-হলুদের কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ। সেখানে তিনি জানালেন, মশাল গার্লসদের নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ এখন ফোকাস করতে চান আইডব্লুএলের দিকেই। আগামী বুধবার সেতুর বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ রয়েছে কল্যাণী স্টেডিয়ামে। যেহেতু গতবার আইডব্লুএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ইস্টবেঙ্গলের বিজয় রথ এগিয়েই চলছে, তাই এবারও এই টুর্নামেন্টই অগ্রাধিকার। অ্যান্থনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, "আমাদের এবার আইডব্লুএল জেতা বেশ কঠিন পরীক্ষা। তবে আমরাও জানি সমর্থকরা প্রতীক্ষা করে থাকেন।"
সেটা কি বাড়তি চাপ? লাল-হলুদ কোচ তা মনে করেন না। তিনি বলছেন, "আমরা জানি কোন ক্লাবের হয়ে খেলছি। সমর্থকদের আবেগ আমরা জানি। আমাদের প্লেয়াররাও সেই আবেগ বোঝে। আমি এটাকে চাপ হিসেবে দেখছি না। বরং মনে করি, এটা নিজেকে প্রমাণ করা সুযোগ। তার সঙ্গে ক্লাবকে সাফল্য দিতে হবে।" সেই লক্ষ্যে কি এবার নতুন প্লেয়ার আসছে ইস্টবেঙ্গলে? তা এখনই ভেঙে বলতে চান না। দু'জন দেশীয় প্লেয়ার নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কিছুটা 'সারপ্রাইজ' রাখছেন অ্যান্থনি। তবে সেই পদক্ষেপ খুব সাবধানে নিতে চান। কারণ এই দলটাকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে তাঁর।
আর সেখানে এএফসি-তেও যে বিশেষ নজর থাকবে সেই কথা বলাই বাহুল্য। এই মরশুমে এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উজবেকিস্তানের ক্লাব পিএফসি নাসাফের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি। সেটা ভাবলে এখনও 'মনখারাপ' হয় অ্যান্থনির। তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে সেই দুঃখ কিছুটা কমেছে লাল-হলুদ ভক্তদের। আর সেই জয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল তথা ভারতীয় ফুটবলের এক কিংবদন্তিও। তিনি বাইচুং ভুটিয়া। ফাইনালের আগে যিনি ভিডিওবার্তায় পেপ টক দিয়েছিলেন মশাল গার্লসদের। যা নিয়ে অ্যান্থনি বলেন, "উনি আমাদের ক্লাবের অংশ। ক্লাবের হয়ে ট্রফি জিতেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, সমর্থকদের আবেগ জানেন। তাই আমরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি ওঁর অভিজ্ঞতা শুনিয়েছিলেন। প্লেয়ারদের উজ্জীবিত করে বলেছিলেন খেলাটা উপভোগ করতে। তাঁর পাঁচ মিনিট সময়ই আমাদের জিততে আরও উদ্বুদ্ধ করেছিল।" সামনে আরও চ্যালেঞ্জ, আরও পরীক্ষা। সাফল্যের খাতা আরও ভরাতে চান অ্যান্থনি।
