সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “মোহনবাগানের নতুন স্পনসর স্যামসং। সঙ্গী TCS IT। চুক্তি প্রায় হয়েই গিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই সই-সাবুদ হবে। ১৫ জানুয়ারি ক্লাবের তরফে সরকারিভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।” বক্তা ‘দেবাশিস দত্ত’। সোমবারের এই পোস্টকে ঘিরে শুরু যাবতীয় জল্পনা এবং ভুল-বোঝাবুঝি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই পোস্ট। মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বিষয়টি বলেছেন বলে তার বিশ্বাসযোগ্যতাও হয়ে ওঠে দ্বিগুণ। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা রীতিমতো ভাইরাল করে তোলেন তাঁর বক্তব্যকে। কিন্তু ক্লাবের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, তথ্যটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
[পন্থ ‘সেরা বেবিসিটার’, ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে মশকরা মিসেস পেইনের!]
ইস্টবেঙ্গলে ইনভেস্টর আসার পর থেকেই মোহনবাগান ভক্তদেরও স্পনসর নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে। কবে ক্লাব স্পনসরের কথা জানাবে, সে বিষয়ে আগ্রহী প্রত্যেকেই। আর সেই কারণেই এই পোস্টটি ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। ঘটনাটা অনেকটা এরকম। মোহনবাগান অর্থসচিবের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। যদিও কে এটি বানিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এই অ্যাকাউন্টটির মালিকই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে জানাচ্ছে মোহনবাগান। দেবাশিস দত্তের প্রোফাইল ভেবে পার্থ সেন নামের এক ব্যক্তি জানতে চান, ইনভেস্টর বা স্পনসরের ব্যাপারে কোনও আপডেট আছে কিনা। ভুয়ো প্রোফাইল থেকে জবাব আসে, হ্যাঁ। ১৫ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে। এরপর পার্থ সেন এ বিষয়ে খানিকটা বিস্তারিত জানতে চাইলে উত্তরে বলা হয়, স্যামসং এবং TCS IT নাকি মোহনবাগানের নয়া স্পনসর। শীঘ্রই ক্লাবের তরফে সই-সাবুদও হয়ে যাবে। কিন্তু পরে সবুজ-মেরুন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোসও বিষয়টি স্পষ্ট করে জানান, এটি আসলে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।
[‘ইনভেস্টর তৈরি, সমস্যা নেই আইএসএল খেলতে’, ফেডারেশনকে জানাল মোহনবাগান]
পরে ক্লাবের পক্ষ থেকে সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। এমন ভুয়ো খবর ছড়ানোর পিছনে কার হাত রয়েছে, তা শীঘ্রই সামনে আসবে। পাশাপাশি স্পনসর ইস্যুতে সব খবর পেতে সমর্থকদের অপেক্ষা করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।