রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৯৬/৭ (পাতিদার ৫১, সল্ট ৩২, কোহলি ৩১, নুর আহমেদ ৩/৩৬)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৪৬/৮ (রাচিন ৪১, হ্যাজেলউড ৩/২১, লিভিংস্টোন ২/২৮)
৫০ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্নের মতো শুরু। এবারের আইপিএলে (IPL 2025) আরসিবির (RCB) পারফরম্যান্সকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। প্রথম ম্যাচে কেকেআরকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে চেন্নাইকে (CSK) উড়িয়ে দেওয়া। তাও দু'বারই অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়। কোহলি-পাতিদারদের শুরুটা যে সমর্থকদের আশা দেখাচ্ছে একথা বলা এতটুকুও অত্যুক্তি হবে না। এদিন তারা জিতল প্রায় পকেটে হাত ঢুকিয়ে শিস দিতে দিতে পথ চলার মস্তানিতে। কোনও সময়ই মনে হয়নি ধোনিরা ম্যাচে ফিরতে পারবেন।ফলশ্রুতি ২০০৮ সালের পর এই প্রথম চিপকে তাঁদের হাতে ধরাশায়ী হতে হল চেন্নাইকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আর শুরু থেকেই ঝড় তুলে দেন ফিল সল্ট। সেই তুলনায় কোহলির ব্যাটিং ছিল ধীরগতির। যদিও সল্টের ব্যাটে দ্রুত বড় রানের দিকে এগোচ্ছিল আরসিবি। আর সেটা থামান ধোনি। বিদ্যুৎগতিতে সল্টকে (৩২) স্টাম্প করে দেন তিনি। এরপর দেবদত্ত পাড়িক্কলও ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। কিন্তু রুতুরাজ দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরান। একাধিক ক্যাচও ছাড়ে সিএসকে। খলিল আহমেদ, দীপক হুডারা আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদারের সহজ ক্যাচ ছাড়েন। এদিকে কোহলির ইনিংস এদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৩০ বলে ৩১ রানের এক ধীরগতির ইনিংস খেলে নুর আহমেদের বলে রাচীন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। লিয়াম লিভিংস্টোনও বড় রান পাননি। নুরের বলে বোল্ড হন ইংরেজ ব্যাটার। কিন্তু পাতিদারের দাপট কমেনি। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হওয়ার পর মাঝের সারিতে রানের গতি একটু কমে যায়। শেষবেলায় টিম ডেভিড ৮ বলে ২২ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আরসিবি’র স্কোর দাঁড়ায় ১৯৬-এ।
সিএসকে-কে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দেন হ্যাজেলউড। প্রথমে রাহুল ত্রিপাঠী (৫)। তারপর রুতুরাজ (০)। ৮ রানে ২ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে যায় চেন্নাই। ক্রমে ফাঁস শক্ত করতে থাকে আরসিবি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। এদিকে আস্কিং রেট ক্রমেই আকাশে উঠছে। তবু আশাভরসা জাগিয়ে রেখেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। কিন্তু তিনিও বোল্ড হয়ে যান ৪১ রানে। দলের স্কোর তখন ৭৫। আস্কিং রেট ১৫ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ম্যাচের ভবিষ্যৎ পরিষ্কার করে পড়ার জন্য জ্যোতিষীর খাঁচাবন্দি টিয়া হওয়ারও প্রয়োজন ছিল না।সে যতই তখনও জাদেজা-ধোনিদের ব্যাটিং বাকি থাকুক।
রাচিনের আউটের পর ম্যাচটা নিছকই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময় ক্রিজে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু যতই তিনি 'হোনি কো আনহোনি' করার লোক হোন, এদিন তাঁরও কিছুই করার ছিল না। ম্যাচের শেষ ৪ বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে (১৬ বলে অপরাজিত ৩০) চেনা ম্যাজিকের জৌলুস দেখা গেলেও ততক্ষণে খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।এদিকে এদিনের ম্যাচে মাঠে অনেকদিন বাদে হলুদ জার্সি গায়ে দেখা গেল রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে। বল হাতে ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে পেলেন একটি উইকেট।ব্যাট হাতে করলেন ১১ রান। এদিনের হার চেন্নাইয়ের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। এটাই তাদের সেরা একাদশ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের।