সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগদানের দিন তরুণী ডেন্টিস্টকে অপহরণের ঘটনায় উত্তাল তেলেঙ্গানার রাঙা রেড্ডি জেলা। অভিযোগ, প্রায় ১০০ জন জোর করে ঢুকে পড়ে ওই তরুণীর বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনা শুক্রবার রাতের। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ বছরের বৈশালী নামের ডেন্টিস্টের বাগদান হওয়ার কথা ছিল। সেজে উঠেছিল রাঙা রেড্ডি জেলার আদি বটতলা গ্রামের বাড়িটি। কিন্তু সেই রাতেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আচমকা প্রায় ১০০ জনের একটি দল এসে জোর করে ঢুকে পড়ে ওই বাড়িতে। বাড়ির জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা হয়। এরপরই বৈশালীকে তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। চিকিৎসকের অভিভাবকরা হাজার চেষ্টা করেও উত্তেজিত জনতাকে আটকাতে পারেননি। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তরুণীকে উদ্ধার করতেও সফল হয় পুলিশ। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গোয়েন্দা দপ্তরের পর পাঞ্জাবের থানায় গ্রেনেড হামলা, খলিস্তানি যোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ]
উত্তেজিত জনতার ওই দল কীভাবে তরুণী চিকিৎসকের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, সেই দৃশ্যের ভিডিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, অন্তত ৩০জন মিলে এক ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করছে। তাঁকে রড আর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে গাড়ির কাচ।
কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা? তরণীর পরিবারের অভিযোগ, নবীন রেড্ডি নামের এক যুবক বৈশালীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে বিরক্ত করছিলেন। সেই নবীনের লোকজনই তরুণীকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বৈশালীর বাড়ির ঠিক উলটো দিকে একটি কাচের কাফে বানিয়েছিলেন নবীন। যাতে সেখানে বসেই নিজের ‘ভালবাসা’কে নজরে রাখতে পারেন তিনি। অভিযোগ, বৈশালীর অপহরণের পরই মেজাজ হারিয়ে তাঁর অভিভাবকরা নবীনের সেই কাফে ভেঙে দেন। এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন নবীন। বৈশালীকে নিজের ‘স্ত্রী’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। যদিও তাঁদের বিয়ে হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৮জনকে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক নবীন।