সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দিন দুই আগে প্রবল ঝড়বৃষ্টির দাপটে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে (Troller Drowning) ভারতীয় মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হল অন্তত ৮২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে (Fisherman)। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘিতে ভারতীয় জলসীমায় তাঁদের উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে এসে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ টি বাংলাদেশি (Bangladeshi) ট্রলার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। তাই সেখান থেকে আরও মৎস্যজীবী উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে, দিঘা থেকে তিনটি মাছ ধরা ট্রলারের ২৭ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডিআইজি পঙ্কজ ভার্মা জানান, উদ্ধার করা মৎস্যজীবীরা বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজে রয়েছে। তাদের রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং দু’দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার প্রবল দুর্যোগে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ট্রলার। সমুদ্রে তা ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ১১ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে নিজেদের অজান্তেই ঢুকে পড়েন ভারতীয় জলসীমায়। শনিবার দুর্যোগের কারণে সমুদ্রে গিয়েও ফিরে আসছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা এবং দিঘার মৎস্যজীবীদের কয়েকটি ট্রলার। দিঘার ট্রলার এফবি মালবিকার মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে ভাসমান ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বাঘের চরের পূর্বদিকে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে দেখতে পান। বাংলাদেশি ট্রলারটির ১১ জন মৎস্যজীবীকেই উদ্ধার করে তাঁরা বনদপ্তরের হাতে তুলে দেন। রাতের দিকে আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮২।
[আরও পড়ুন: এবার অনুব্রতকন্যা সুকন্যা ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে সিবিআই হানা]
বনদপ্তরের তরফে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের সড়কপথে রায়দিঘিতে নিয়ে আসে। রায়দিঘির সাউথ সুন্দরবন ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে প্রথমে ওই মৎস্যজীবীদের রাখা হয়েছে। সাউথ সুন্দরবন ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন ময়রা জানান, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে রায়দিঘি থানার পুলিশ উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার আশঙ্কা! মহম্মদ আলি পার্কে পুজো প্যান্ডেল তৈরির কাজ বন্ধের নির্দেশ পুরসভার]
উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী জামাল সরদার জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাঁদের ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে ডুবে গেলে তাঁরা সমুদ্রে ভাসতে থাকেন। ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে কখন ঢুকে পড়েছেন তা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। ভারতীয় মৎস্যজীবীরাই তাঁদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীদের মতে, এক, দুটি নয়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্রায় ১০০ টি বাংলাদেশি ট্রলার। উদ্ধার বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন ফ্লাড শেল্টারে রাখা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: