সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'সন্ত্রাস থামান, পিস্তলে কেন জনমতের প্রকাশ?', রক্তাক্ত বাংলাদেশকে কাতর আর্জি জানিয়ে রবিবারই পোস্ট করেছিলেন মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী। দেশের গণআন্দোলন যে আকার নিয়েছিল, শয়ে শয়ে প্রাণ গিয়েছে যে আন্দোলনে, সেসব কথা ভেবে রবিবার সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি জনপ্রিয় পরিচালক। সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তেই মুজিবরকন্যাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ফারুকী।
ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক। তিনি যে বাংলাদেশের যুবপ্রজন্ম এবং পড়ুয়াদের পাশে রয়েছেন, একাধিক পোস্টে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সোমবার দুপুর গড়িয়ে ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য ধরা দিতেই তাঁদের জন্য উচ্ছ্বসিত, গর্বিত ফারুকী। বললেন, "স্বাধীন দেশে স্বাগতম!" হাসিনা সরকার পতনের পরই কড়া ভাষায় কটাক্ষ বাংলাদেশের পরিচালকের। তাঁর মন্তব্য, "কী করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতির কন্যা থেকে পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম এবং নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসকে পরিণত হল শেখ হাসিনা, এটা ভবিষ্যতে ইতিহাসের ছাত্ররা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করবেন এবং রাজনীতিকরা শিক্ষা নেবেন আশা করি।"
[আরও পড়ুন: ‘লাশের হিসাব কে দেবে? কোন কোটায় দাফন হবে?’, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ নিয়ে মন কাঁদছে স্বস্তিকার]
বাংলাদেশ জুড়ে চলছে কার্ফু। উপেক্ষা করেই রাজপথে নেমেছেন কাতারে কাতারে মানুষ। ঢাকার রাজপথে তাঁদের গগনভেদী প্রতিবাদী চিৎকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে। ভাঙা হচ্ছে সোনার বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুর মূর্তি পর্যন্ত। পদ্মাপারের ইতিহাসে এমন 'কালো দিন' সম্ভবত আসেনি। গোটা দেশ সেনাবাহিনীর দখলে। অন্তর্বতী সরকার গড়বে সেনা। বাংলাদেশের জনতার এহেন একতাকে কুর্নিশ জানালেন পরিচালক মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকীর।
সোমবার হাসিনা গণভবন ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরেই ঢাকার গণভবনে আছড়ে পড়ে জনতার ভিড়। দখল নিয়ে নেওয়া হয় গণভবনের। চলে ভাঙচুর। সেই ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি যে পথে যাচ্ছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে নয়াদিল্লি। অনুমান করা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির পিছনে সরাসরি রয়েছে পাকিস্তানের যোগ। হাসিনার পদত্যাগের পর সরকারের রাশ কার হাতে যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।