সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রিয় অভিনেতা ও কমেডিয়ান বীর দাসকে (Vir Das) ঘিরে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসি-র জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফরমিং আর্টসে ৭ মিনিটের মনোলগ তুলে ধরেন তিনি। সেই ভিডিওয় তিনি দেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বীর দাসকে ‘অপরাধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ‘বীর দাসের এমন মন্তব্য মোটেও সমর্থন করা যায় না।’ এবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়ে দিলেন, তাঁদের রাজ্যে বীরকে কোনও অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না।
নরোত্তম জানিয়েছেন, ”আমরা এই ধরনের কিছু এখানে হতেই দেব না। তবে যদি উনি ক্ষমা চান, তাহলে ভেবে দেখতে পারি। ” তাঁর অভিযোগ, দেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেন এই ধরনের লোকেরা। এবং তাঁরা কপিল সিব্বল ও কংগ্রেসের অন্য নেতাদের সমর্থনও পান! তাঁর কথায়, ”কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও বিদেশের মাটিতে দেশকে অবমাননা করেছেন। একই কাজ করতে দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও। এই ধরনের মানুষদের আমরা বলি বিদূষক। রাজ্যে এই ধরনের মানুষদের কোনও রকম পারফরম্যান্স করতে দেবই না।”
ঠিক কী বলেছিলেন বীর দাস? ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দ্বিখণ্ডিত ভারতের নাগরিক। দ্বিখণ্ডিত কেন জানেন? কারণ, আমি এমন এক দেশের নাগরিক যেখানে দিনের বেলা মেয়েদের পুজো দেওয়া হয় আর রাতে গণধর্ষণ। ’’ বীর দাসের এমন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় সব মহলে। এমনকী, বীর দাসের বিরুদ্ধে দিল্লির তিলক মার্গ থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
বীর দাসের এই মন্তব্যে গেরুয়া শিবির ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, বীরের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেসের দুই নেতা কপিল সিব্বল ও শশী থারুর। তাঁদের কথায়, ‘‘বীর আসলে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মনের কথা সামনে এনেছেন।’’
বিতর্ক ওঠার পর বীর দাস নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেকটি বক্তব্যের একটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। আমার বক্তব্য়েও সেটা ছিল। দয়া করে এডিটেড ভিডিও দেখে কোনও মন্তব্য করবেন না।’