সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল। সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা জোরাল করে সোমবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সু কি-সহ শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত গ্রেটা থুনবার্গ, অ্যালেক্সেই নাভালনি]
মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আজ ভোরে আচমকা কউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী। জনতার কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি জনগণের কাছে আরজি জানাচ্ছি এই ঘটনায় আবেগে ভেসে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। সবাই আইন মেনে চলুন।” প্রসঙ্গত, সোমবার অর্থাৎ আজ থেকেই দেশটিতে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেনাবাহিনীর এহেন পদক্ষেপ সামরিক অভ্যুত্থান বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে, সকাল থেকেই মায়ানমারের রাজধানী নাইপদাওয়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটি ফেসবুক পোস্টে সরকার নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল MRTV জানিয়েছে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য আপাতত তারা কোনও প্রোগ্রাম চলতে পারছে না। তবে এর নেপথ্যে সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরছে আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিন্মকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সর্বশক্তিমান ‘জুন্টা’। বলে রাখা ভাল, ২০০৮ সালে সামরিক নজরদারিতে যে সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেখানে পার্লামেন্টে কোনও বড় আইন রুখে দেওয়ার মতো আসন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলিও সেনার হাত রয়েছে। ফলে গণতন্ত্র প্রতিষ্টা হলেও, গণতান্ত্রিক শাসন এখনও প্রতিষ্টা হয়নি সে দেশে।