সুবীর দাস, কল্যাণী: মধুচক্রের প্রতিবাদের ‘শাস্তি’। আক্রান্ত ‘প্রতিবাদী’ যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা এলাকা। শনিবার রাতে হরিণঘাটার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দেহ ফেলে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাবের অভিযোগ তোলে তারা।
ঘটনার সূত্রপাত নবমীর রাতে। বিরহী অঞ্চলের রায়পাড়ায় একটি বাড়িতে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠছিল অনেক দিন ধরেই। নবমীর রাতে মধুচক্রে যুক্ত এক মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন এক যুবক। সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা শুভ দাসের বাইকে ধাক্কা মারেন ওই যুবক। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে তিনি বাইক নিয়ে চম্পট দেন। পালটা শুভ-সহ এলাকার অন্য যুবকরা তাঁকে ধাওয়া করেন। অভিযোগ, সেই সময় চলন্ত বাইক থেকে শুভর বাইকে লাথি মারেন অভিযুক্ত। পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান শুভ।
প্রথমে থাকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনিত হলে বারাসক, বারাকপুরের হাসপাতাল, পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় বড়সড় চোট লেগেছিল বলে খবর। শুক্রবার সকাল সাতটা কুড়ি মিনিটে মৃত্য়ু হয় শুভর। ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতে তাঁর মৃতদেহ বিরহীতে পৌঁছলে এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মোমবাতি জ্বালিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
উল্লেখ্য, মধুচক্র চালানোর অভিযোগে দশমীর সকালে চার মহিলা-সহ সাতজনকে আটক করে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককেও আটক করা হয়। তবে তাঁদের গ্রেপ্তার না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।