সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, 'নামে কী আসে যায়?' যদিও বাস্তবে ভোট রাজনীতিতে 'নামে' বহু কিছু আসে যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল 'বিভ্রান্তি'। ভিভিআইপি নামী প্রার্থীর (Candidate) ভোট কাটতে একই নামে কোনও ব্যক্তিকে ওই আসনে প্রার্থী করা নতুন কিছু নয়। নাম একই হওয়ায় কখনও সখনও বিভ্রান্তিতে পড়ে নেমসেকের চিহ্নে ভোট দিয়ে বসেন ভোটার। যার লাভ সরাসরি চলে যায় প্রতিদ্বন্দ্বীর খাতায়। নির্বাচনে এই ঘটনা রুখতে সম্প্রতি আদালতে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। যদিও মামলাকারীর আবেদন খারিজ হয়ে গেল শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।
সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আবেদন করা হয়েছিল, একই নামে প্রার্থী দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। এই ধরনের একই নামধারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আটকাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিক শীর্ষ আদালত। আদালতে মামলাকারী আরও জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ঘটনার জেরে খুব অল্প ভোটে হেরে গিয়েছেন নামী প্রার্থী। আদালত এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করুক এবং ভোট কাটতে মাঠে নামা একই নামের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক। অবশ্য মামলাকারীর আবেদন এদিন ধোপে টেকেনি।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় কটা আসন পাবে তৃণমূল? কংগ্রেস-বামেদেরও ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মোদি]
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, 'মা-বাবা যদি তাঁদের সন্তানের নাম লালু যাদব বা রাহুল গান্ধী রাখেন তাঁদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে কি কেউ আটকাতে পারে? পাশাপাশি আদালতের প্রশ্ন বাবা-মাকে কি এই ধরনের নাম রাখা থেকে আটকানো যায়?' আবেদনকারীর উদ্দেশে পালটা প্রশ্ন তুলে এই মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আবেদন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, উপযুক্ত কারণ ছাড়া কেউকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে আদালত আটকাতে পারে না। শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহার করে নেন আবেদনকারী।