গোবিন্দ রায়: নরেন্দ্রপুরে স্কুলে অশান্তির ঘটনায় সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও অধরা প্রধান শিক্ষক। আর সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে আর কতদিন সময় লাগবে, তা জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
গত ২৭ জানুয়ারি, নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হানা দেয় ৫০-৬০ জনের একটি দল। ভাইরাল হওয়া ভিডিও অনুযায়ী, স্কুলের টির্চাস রুমে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করা হয়। প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ হোসেনের মদতে মারধর বলেই অভিযোগ আক্রান্তদের। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ঘটনা এখনও পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনও অধরা প্রধান শিক্ষক।
[আরও পড়ুন: পায়ুদ্বারে মোবাইল লুকোতে গিয়ে সর্বনাশ! হাসপাতালে জেলবন্দি]
এই মামলার শুনানিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পুলিশকে তুমুল ভর্ৎসনা করে হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুলিশকে তিনি প্রশ্নও করেছিলেন, ‘‘এতদিন চোখে কাপড় বেঁধেছিলেন?” সোমবারও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি চলাকালীন পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
তবে হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় এফআইআরে নাম না থাকাও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “কেন? প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যায়নি কেন?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। পালটা বিচারপতির প্রশ্ন, “আগাম জামিনের আবেদন করলে কি গ্রেপ্তার করা যায় না?” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “আশা করি পুলিশ প্রধান শিক্ষক-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।” মাধ্যমিকের পর ফের এই মামলার শুনানি।