সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশে কি মানুষ একেবারে একলা? সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কুর মতো নানা চরিত্রই কল্পবিজ্ঞান কাহিনিতে সন্ধান পেয়েছে অন্য গ্রহের প্রাণীদের। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা একেবারে আলাদা। বিজ্ঞানীরা আজও খুঁজে চলেছেন মানুষের দোসরকে। এরই মধ্যে বৃহস্পতির ‘চাঁদ’ গ্যানিমিড থেকে ভেসে এল এফএম সিগন্যাল! নাসার (NASA) জুনো নামের মহাকাশযানের রাডারে ধরা পড়ল সেই সংকেত। যা থেকে শুরু নয়া জল্পনা।
অতিকায় বৃহস্পতির (Jupiter) উপগ্রহের সংখ্যা ৭৯। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্যানিমিড (Ganymede)। সেখান থেকেই ওই সংকেত ভেসে এল। এর আগে কিন্তু ওই উপগ্রহ থেকে কখনও কোনও ধরনের সংকেত মেলেনি। স্বভাবতই এমন খবরে কৌতূহলী মহাকাশপ্রেমীরা। কিন্তু তাঁদের সব আগ্রহে জল ঢেলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই এফএম সংকেত মোটেই কোনও যন্ত্র থেকে আসছে না। ফলে এর থেকে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলার কথা ভাবলে ভুল হবে।
[আরও পড়ুন: এবার গোরিলার শরীরেও মিলল করোনা ভাইরাসের হদিশ! চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা]
কিন্তু তাহলে ওই সংকেত এল কোথা থেকে? নাসার প্রতিনিধি প্যাট্রিক উইগিনসের কথায়, ”এটা ইটির ব্যাপার নয়। ব্যাপারটা নেহাতই প্রাকৃতিক।” অর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যেই তৈরি হয়েছে এই তরঙ্গ। অনেক সময়ই তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রে (Electromagnetic field) ইলেকট্রন আটকে পড়লে এই ধরনের তরঙ্গ তৈরি হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ নামের এক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।
প্রসঙ্গত, এই সৌরজগতে গ্যানিমিডই একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ, যার নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র রয়েছে। সেই কারণে এখানে এই ধরনের কোনও তরঙ্গ থাকতে পারে বলে বহুদিন ধরেই মনে করছিলেন বিজ্ঞানীরা। এতদিনে তার প্রমাণ মিলল। এই তরঙ্গ বিশ্লেষণ করলে নতুন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য মিলতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।