স্টাফ রিপোর্টার: দেশের নিরাপদতম এবং সবথেকে সুরক্ষিত শহর কলকাতাই (Kolkata)। সোমবার প্রকাশিত হওয়া ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় গুরুতর অপরাধের হার সবথেকে কম কলকাতায়। এমনকী, বিশেষ ও স্থানীয় আইনের ক্ষেত্রেও কলকাতায় অপরাধের হার অনেক কম। সেই অনুযায়ী, মোট অপরাধের হার কম তিলোত্তমা কলকাতায়।
সদ্য প্রকাশিত ২০২১ সালের এনসিআরবি (NCRB) রেকর্ড জানিয়েছে, প্রতি লাখ জনসংখ্যা অনুযায়ী, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে কলকাতার অপরাধের হার মাত্র ৯২.৬। সেখানে দিল্লিতে অপরাধের হার ১৭৭১.৭, যা কলকাতার থেকে ১৯ গুণেরও বেশি। গুজরাতের আমেদাবাদে গুরুতর অপরাধের হার ৩৮৮.৩, সুরাতে ৭০০, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ৪৮৮.৬, কানপুরে ২৪৭.৮, রাজস্থানের জয়পুরে ৭৫৯.৫, মুম্বইয়ে ৩৪৫.৯, চেন্নাইয়ে ৫২৯.৯, হায়দরাবাদে ২৩১.৭।
[আরও পড়ুন: বৈদিক ভিলেজের প্রশিক্ষণ শিবিরে গরহাজির ৩ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জবাব তলব বঙ্গ বিজেপির]
দেশের অন্যান্য শহরগুলিতে এই হার কলকাতার থেকে অনেকটাই বেশি। গত বছর কলকাতায় ৪৫টি খুনের ঘটনা ঘটে। সেখানে দিল্লিতে ৪৭২, লখনউয়ে ১০৪ জন, মুম্বইয়ে ১৬৪ জন, চেন্নাইয়ে ১৬৪ জন, জয়পুরে ১১৮ জন খুন হন। পণের জন্য বধুহত্যার ঘটনাও কলকাতায় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম।
টানা দু’বছর দেশের নিরাপদতম শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতা। সেই খবর টুইট করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নজরদারি এবং প্রশাসনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।”
অন্যদিকে, গত এক বছরে জম্মু-কাশ্মীরের প্রায় তিনশো জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করা করা হয়েছে, দেশের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যেও কাশ্মীরীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এনসিআরবি তথ্য (NCRB Report 2022) অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর দিল্লি। রাজধানীতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা গত এক বছরে প্রায় চল্লিশ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন দিল্লিতে গড়ে দু’জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। মহিলাদের জন্য বিপকজ্জনক শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাবে অপরাধের সংখ্যা কমলেও শিশুদের প্রতি অন্যায়ের পরিমাণ প্রায় কুড়ি শতাংশ বেড়েছে।