সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নারী নিরাপত্তা নিয়ে এবার অভিযোগ তুলল জাতীয় মহিলা কমিশনও (NCW)। শনিবার দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (Rekha Sharma) রাজ্য প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হলেন। তাঁর অভিযোগ, নারী নিরাপত্তা যথাযথ নয় এ রাজ্যে। নারীপাচারের মতো ঘটনাও ঘটে চলেছে অবাধে। অথচ সেসব রুখতে সক্রিয় নয় প্রশাসন। বাংলায় নারী নির্যাতনের যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে চান রেখা শর্মা।
শনিবারই কলকাতায় পা রেখেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। এ রাজ্যে নারীদের উপর অত্যাচার নিয়ে আড়াইশোরও বেশি মামলার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে তিনি আগে থেকে চিঠি লিখে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছিলেন। সেইমতো, শনিবারই উভয়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে থাকার কথা ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার, মুখ্যসচিবেরও। কিন্তু রেখা শর্মার অভিযোগ, শেষমুহূর্তে বৈঠকে তাঁরা হাজির হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডিজিপি।
তবে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তরফে কয়েকজন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছিল সেই বৈঠকে। রেখা শর্মার অভিযোগ, যাঁরা রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন, তাঁরা কেউই গত ৬ মাসে রাজ্যে নারী নিরাপত্তার কী পরিস্থিতি, তার খোঁজখবরই রাখেননি। অন্তত ২৭৬টি মামলার কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই তাঁদের কাছে। এসব দেখেই কার্যত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রেখা শর্মা। পকসো আইন এবং স্বতঃপ্রণোদিত (Suo Moto) মামলাগুলি নিয়েও তাঁরা বিশেষ ওয়াকিবহাল নন বলে অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গের সীমান্তগুলিতে সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব, তাই এই পথ নারী পাচারের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: বিপন্মুক্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে]
রেখা শর্মার আরও দাবি, তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নিগৃহীত মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। বুঝেছেন যে পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই নিষ্ক্রিয় ছিল, সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের এই অভিযোগের যথারীতি বিরোধিতায় সরব রাজ্য প্রশাসনের। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার পালটা বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ যে নারী পাচারের আদর্শ স্থান হিসেবে বলা হচ্ছে, সেই ঘটনায় শাসকদলের কেউ নয়, বিজেপি নেত্রীর নাম জড়িয়েছিল। এরপর মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, বোঝাই যাচ্ছে, জাতীয় মহিলা কমিশনও বিজেপির সুরেই কথা বলছে।