সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুন্নাভাই MBBS ছবির ডক্টর রুস্তমকে মনে আছে? কীভাবে মুন্নাভাইয়ের হয়ে পরীক্ষায় বসতেন মেডিক্যাল কলেজের ওই প্রফেসর। পর্দার সেই দৃশ্যেরই যেন পুনরাবৃত্তি NEET-এ। সলভার গ্যাং হিসাবে কাজ করার অভিযোগে জনা তিনেক চিকিৎসককে আটক করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, আপাতত ওই তিন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটক তিন চিকিৎসকই পাটনা এইমসে কর্মরত। প্রত্যেকেই ২০২১ ব্যাচের চিকিৎসক। নিট এবং ডাক্তারির অন্যান্য পরীক্ষায় সকলেই ভালো ফল করেছেন। সিবিআইয়ের ধারণা, তথাকথিত সলভার গ্যাংয়ের সদস্য হিসাবে কাজ করতেন এই তিন চিকিৎসক। তাঁদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের ঘর সিল করা হয়েছে। মোবাইল এবং ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একদিন আগেই নিটে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে দুই কিংপিনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: পুলিশকে গুলি করে পগার পার, অবশেষে গ্রেপ্তার কুলতলির ‘এল চাপো’ সাদ্দাম]
উল্লেখ্য, নিট মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য পাচ্ছে সিবিআই। এর আগে এনটিএর ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করার অভিযোগে এক ইঞ্জিনিয়ার-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পঙ্কজ কুমার নামের ওই ইঞ্জিনিয়ারকে পাটনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শাগরেদ রাজু সিংকেও আটক করা হয়েছে জামশেদপুর থেকে। নিট প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই আবিষ্কার করেছিল হাজারিবাগ থেকেই প্রথম প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। সেখানকার ওয়েসিস স্কুলে রাখা এক সেট প্রশ্নপত্র সিল ভেঙে চুরি করা হয়েছিল। এবং সেটা সেখানকার কর্মীরাও জানতে পেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই মুখ খোলেননি।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ১২ মাওবাদী, আহত জওয়ান এবং পুলিশকর্মী]
অভিযোগ, এই কেলেঙ্কারি শুধু প্রশ্নফাঁসেই শেষ নয়। পরীক্ষার্থীরা চাইলে তাঁদের হয়ে পরীক্ষা দিয়ে দেওয়ার জন্য আলাদা সলভার গ্যাংও তৈরি হয়েছিল। সেই পাটনা এইমসের তিন চিকিৎসক এই সলভার গ্যাংয়েরই সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে।