shono
Advertisement

‘ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক নেতাজির চিতাভস্ম’, স্বাধীনতা দিবসেই দাবি সুভাষ কন্যার

রেনকোজি মন্দিরের চিতাভস্ম পরীক্ষা করে ফিরিয়ে আনা হোক, দাবি অনিতার।
Posted: 05:09 PM Aug 15, 2022Updated: 05:13 PM Aug 15, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে নেতাজির (Netaji) ‘দেহাবশেষ’ ফিরিয়ে আনতে সওয়াল করলেন তাঁর কন্যা। অর্থনীতিবিদ অনিতা বসু পাফ জানিয়েছেন, নেতাজির দেহাবহশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনা হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মর্মে অনেকবার ভারত (India) এবং জাপানের (Japan) সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। অনিতার কথায় কর্ণপাত করেনি দুই দেশের সরকার। অনিতার মতে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করার জন্য এটাই একমাত্র উপায়।

Advertisement

স্বাধীনতা দিবসের দিন অনিতা (Anita Basu Pfaff) জানিয়েছেন, “ভারতের স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি নেতাজি। কিন্তু তাঁর দেহাবশেষ যদি ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়, সেটাই হবে তাঁর প্রতি বর্তমান জনতার শ্রদ্ধার্ঘ্য।” এরপরেই ভারত এবং জাপান দুই দেশের সরকারের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অনিতা বলেছেন, “আমার মনে হয় ভারত সরকার এবং জাপান সরকার এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। তার ফলে সময় নষ্ট করছে দু’দেশের সরকার। নেতাজিকে নিয়ে দুই দেশ একটু অস্বস্তিতে রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: পেলোসির পরে তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধি দল, ফের সামরিক মহড়া ক্ষুব্ধ চিনের]

তিনি আরও জানিয়েছেন, “আধুনিক প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তার ফলে চিতাভস্ম থেকেঅ ডিএনএ বের করে এনে পরীক্ষা করা যায়। যাঁরা মনে করেন, জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা ভস্ম আসলে নেতাজির নয়, তাঁদের ভুল ভাঙা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেছেন, রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত এবং জাপান সরকার ইতিমধ্যেই নতুন করে পরীক্ষা করাতে রাজি হয়েছে।  অনিতার আবেদন, নেতাজির দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁর দাবিকে সমর্থন করুন সাধারণ মানুষ।  

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেতে উঠেছে সারা দেশ। কিন্তু তার মধ্যেও অজানা রয়ে গিয়েছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান মুখ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য। ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে পরমাণু বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজি। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই জানা যায়, ১৮ আগস্ট জাপানের তাইহোকু এয়ারবেসে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নেতাজির। কিন্তু নানা কারণে সেই তথ্যকে অস্বীকার করেন ভারতের বহু মানুষ।

তারপর থেকেই শুরু হয় নেতাজির মৃত্যু নিয়ে জল্পনা। বিভিন্ন সময়ে মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নেতাজির মৃত্যু রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জানা যায়নি, কবে কীভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল। বেশ কয়েকবার নেতাজি সংক্রান্ত কনফিডেনশিয়াল ফাইল প্রকাশ করার ঘোষণা করা হয়েছে ক্ষমতাসীন সরকারের তরফে। কিন্তু সেই ফাইল থেকেও উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।

[আরও পড়ুন: হামলার জন্য দায়ী রুশদি নিজেই! হামলার দায় এড়িয়ে বার্তা ইরানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement