সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: স্লো পয়জন দিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে খুন করা হয়েছে। দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই ওই কাউন্সিলর তথা কাকিমার ময়নাতদন্তে এসে এমনই অভিযোগ করলেন তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দু। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয় উঠে আসছে। উঠে আসছে ৭০ লক্ষ টাকার প্রসঙ্গ! আর এই বিষয়টি সামনে এনেছেন তাঁর ভাইপো কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা মিঠুন কান্দু-ই।
তিনি বলেন, "কাকিমার বাড়িতে সিসিটিভি বন্ধ রয়েছে কয়েক দিন ধরে। কোন সুস্থ সবল মানুষ এভাবে হঠাৎ করে মারা যেতে পারেন না। কাকিমাকে স্লো পয়জন দিয়ে খুন করা হয়েছে। এর পেছনে আর্থিক লেনদেনের বিষয় রয়েছে। কাকু কাউকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। কাকিমার মৃত্যু এমনি-এমনি হয়নি। তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু আমি যথাস্থানে বলব।"
মহানবমীর রাতে ঝালদার স্টেশন পাড়ায় তাঁর বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় পূর্ণিমা কান্দুকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাকে দ্রুত ঝালদা ১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় তাঁর ছেলে-মেয়েরা ঘরে ছিলেন না। বাইরে ছিলেন তাঁরা। ভাইপো মিঠুনও ছিলেন কাজে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাননি মিঠুন কান্দু। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিষয়ে তিনি ঝালদা থানায় যান। তাঁর কথায়, "রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই আমি অভিযোগ করব। তদন্তকারীদের কাছে সবকিছু বলব। " এই সমগ্র ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা চলছে। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকালে হাঁটতে বার হয়ে ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীর গুলিতে খুন হন তপন কান্দু। হাই কোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দেওয়ার পর ওই মামলা এখন পুরুলিয়া আদালতে বিচারাধীন। মিঠুন এই ঘটনারও সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন মিঠুন।