সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স্ক এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের উপরই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে মারণ করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। এতদিন এমনটাই জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী এও বলা হয়েছে, শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলক কম। আর সংক্রমিত হলেও তা খুব বেশি বিপদজনক হয় না। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণার রিপোর্ট নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে বাচ্চাদের মধ্যে নতুন একটি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যা শরীরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। গবেষণা অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হলে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিন্ড্রম (MIS-C) দেখা দিচ্ছে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো শিশুদের মধ্যেও করোনার সাধারণ উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যেমন জ্বর, সর্দি, ক্লান্তি, স্বাদ ও গন্ধ অনুভব না করা, বুক ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণগুলি অনেক সময় শিশুদের মধ্যেও দেখা যায়। কিন্তু নতুন করে দেখা মিলেছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিন্ড্রমের (MIS-C)। যা শিশু শরীরের অনেকটাই ক্ষতি করে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন অংশে অসহ্য যন্ত্রণা হতে পারে। করোনা আক্রান্তের এই উপসর্গ থাকলে ফুসফুস, হার্ট, রক্তকণিকা, কিডনি, যকৃৎ, চোখ, ত্বক এমনকী মস্তিষ্কেও খারাপ প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।
[আরও পড়ুন: মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমেই দ্রুত হতে পারে করোনা পরীক্ষা, নতুন গবেষণায় দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের]
প্রথমেই কীভাবে বুঝবেন শিশু মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিন্ড্রমের (MIS-C) শিকার? এক্ষেত্রে কয়েকরকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- ঘাড়ে গ্ল্যান্ড তৈরি হতে পারে।
- ঠোঁট অতিরিক্ত ফেটে যায়।
- শরীরের বিভিন্ন অংশে ব়্যাস বেরোয়।
- হাত অথবা পায়ের আঙুল অতিরিক্ত লাল হয়ে যায়।
- চোখে যন্ত্রণা হয়।
- চোখ রক্তের মতো লাল হয়ে ওঠে।
- এরই মধ্যে আবার অনেক শিশু স্ট্রবেরি টাংয়ের মতো লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
মোট ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত শিশুর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজনের স্ট্রবেরি টাংয়ের লক্ষণ রয়েছে। বিষয়টি কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক্ষেত্রে শিশুদের জিভ ফুলে লাল হয়ে যায়। এছাড়া চোখ জ্বালা করা, গাল লাল হয়ে ওঠার লক্ষণও ভাবাচ্ছে গবেষকদের। তাই করোনার প্রকোপ থেকে যাতে বাচ্চারাও সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখার পরামর্শই দেওয়া হচ্ছে।