সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে হাজারো প্রতিবাদ জানালেও ভারতীয় বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে শেষমেশ কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন (Digital law) মেনে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলি। শুক্রবারই ৫৯ হাজারের বেশি লিংক সরিয়ে দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল (Google)। যার মধ্যে ছিল ইউটিউবের লিংকও। আর এবার ‘আপত্তিকর’ তিন কোটি কনটেন্ট মুছে ফেলল ফেসবুক। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম (Instagram) থেকে সরল প্রায় ২০ লক্ষ কনটেন্ট।
কেন্দ্রের ডিজিটাল নীতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই চর্চা চলছিল। সাম্প্রদায়িক হিংসা ও ভুয়ো খবর রুখতে কড়া মনোভাব দেখিয়ে নয়া নীতির বিষয়টি তুলে ধরেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নীতিই মেনে নিতে বলা হয়েছিল ফেসবুক (Facebook), টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলিকে। কিন্তু প্রথমে তারা বেঁকে বসলেও পরবর্তীতে নিয়ম মেনে নিতে সম্মত হয় তারা। তবে গোটা বিষয়টি টুইটার পুরোপুরি না মানায় ইতিমধ্যেই তাদের মাথার উপর থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি বুঝেই তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে নয়া নীতি মেনে ঝাড়াই-বাছাই শুরু করে দিল গুগল, ফেসবুক।
[আরও পড়ুন: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে কতটা সক্ষম Covaxin? কী বলছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট?]
জানা গিয়েছে, ডিজিটাল নীতি ভঙ্গের বিষয়টি ১০টি ক্যাটাগরি ভাগ করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত করা মোট ৩ কোটি কনটেন্ট সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক। এর মধ্যে রয়েছে আড়াই কোটি স্প্যাম, ২৫ লক্ষ হিংসাত্মক পোস্ট, ১৮ লক্ষ যৌনতা সংক্রান্ত কনটেন্ট এবং ৩ লক্ষের বেশি উসকানিমূলক পোস্ট। এছাড়াও মুছে ফেলা হয়েছে হেনস্তা, নিজেকে আঘাত করা, জঙ্গি সংগঠনের প্রচারের মতো পোস্টগুলিও। পাশাপাশি মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার অধীনস্ত আরেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম থেকে সরানো হল আপত্তিকর প্রায় ২০ লক্ষ পোস্ট। ফের ১৫ জুলাই নিজেদের পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবে এই প্ল্যাটফর্মগুলি।
এর আগে গুগল জানিয়েছিল, এপ্রিলে মোট ২৭ হাজার ৭১৬টি অভিযোগ পেয়েছে তারা। তারপরই ৫৯ হাজারের বেশি লিংক সরিয়ে ফেলা হয়। এর অধিকাংশই কপিরাইট সংক্রান্ত। যদিও ইউটিউবের মতো নিজস্ব সংস্থার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হলেও ‘সার্চ’-এর ক্ষেত্রে কোনও লিংক সরানো হয়নি।