গোবিন্দ রায়: জাতীয় সড়কে এক-দুই কিলোমিটার অন্তরে দেওয়া যাবে না ব্যারিকেড। এই বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র আলোচনা অবিলম্বে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করবে। প্রয়োজনে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার বানাতে হবে। ডালখোলার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ মামলায় এমনই মন্তব্য কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
পথদুর্ঘটনায় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমাদের সকলকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।” এদিন জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী জানান, বারাসত-কৃষ্ণনগর রাস্তা তৈরিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা উচিত। যাতে পুজোর ছুটির আগে কাজ শেষ হয়। এ ব্যাপার যেন আদালত হস্তক্ষেপ করে।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কিছু? স্ত্রী ও সৎ মেয়েকে ‘খুনে’র পর আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের]
পাশাপাশি বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত এক কিলোমিটার-দু’কিলোমিটার অন্তর ব্যারিকেড দিচ্ছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের পারাপার করার সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু জাতীয় সড়কে এই সুযোগ নেই। এটা বেআইনিভাবে করা হচ্ছে। হয় আন্ডারপাস কিংবা ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, রাস্তার দু’প্রান্তে অপরিকল্পিত কাটআউট লাগানো হচ্ছে। দুর্ঘটনা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে কাটআউট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কড়া সতর্কতার প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাট আউট যাতে ব্যবহার না করা হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।