shono
Advertisement

হাই কোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: CBI তদন্তের সুপারিশ NHRC’র রিপোর্টে, পালটা মমতার

আগামী ২২ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি।
Posted: 04:38 PM Jul 15, 2021Updated: 06:01 PM Jul 15, 2021

শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিন দুই আগেই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। মুখ বন্ধ খামের সেই রিপোর্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক একটি রিপোর্ট দিয়েছে NHRC। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই সব ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের সুপারিশ করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই। ওই দিন রাজ্যের তরফে বক্তব্য পেশ করা হবে। তবে তার আগে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে CBI-এর সুপারিশ হাই কোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Advertisement

এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত, স্বজনহারা পরিবারগুলি। এ নিয়ে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। কলকাতা হাই কোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলা চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সুযোগ মেলেনি, এই আবেদন জানিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন NHRC সদস্যরা। আদালত তা মঞ্জুর করে ১৩ জুলাই তাঁদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় জানা যায় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষণগুলি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে কমিশনের বক্তব্য, বেশ কয়েকটি ঘটনার গুরুত্ব আলাদা। তাই তার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি তৈরি করা উচিত। এই মামলা লড়ার জন্য বিশেষ একজন সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করার সুপারিশ রয়েছে রিপোর্টে। আর সামগ্রিকভাবে সিবিআই-কে দিয়ে মামলার তদন্ত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ‘ত্রাণ থেকে Vaccine, কিছুই পাচ্ছে না বাংলা’, কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার]

তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি বলেন, ”ভোট পরবর্তী নয়, কমিশন যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে, তার বেশিরভাগটাই ভোটের পূর্ববর্তী সময়ে। তখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। মানবাধিকার কমিশনকে সামনে এনে বাংলার নামে মিথ্যে রটানো হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: টসিলিজুমাব বিতর্কের মাঝেই ফের রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদে নির্মল মাজি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement