নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লক্ষ্য ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। দলের সংসদীয় বোর্ড কার্যত আমূল বদলে ফেলল বিজেপি। পুরনো ও পরীক্ষিত মুখ সরিয়ে আনা হল একাধিক সফল এবং নতুন মুখকে। তবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই বোর্ডে জায়গা পেলেন না। রীতি ভেঙে সংসদীয় বোর্ড থেকে ছেঁটে ফেলা হল দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্ষীয়ান নেতা নীতীন গড়করিকে। বাদ পড়লেন মধ্যপ্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও (Shivraj Singh Chouhan)।
বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে গড়করির নাম বাদ পড়াটা সবচেয়ে চমকপ্রদ। সংঘ ঘনিষ্ঠ এই নেতা এই মুহূর্তে মোদি মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে একজন। একটা সময় দলের সভাপতিও ছিলেন। সাধারণত বিজেপির (BJP) সভাপতিরা যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেন, ততদিন তাঁদের দলের সংসদীয় বোর্ডে রাখা হয়। কিন্তু গড়করিকে সরিয়ে দেওয়া হল। যদিও এর পিছনে ঠিক কোন অঙ্ক রয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাঁচতে দিন’, প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের]
তাৎপর্যপূর্ণ বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে পুনরায় ঢুকে পড়েছেন রাজনাথ সিং। সদ্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়ানো বিএস ইয়েদুরাপ্পাও আছেন বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আছেন সর্বানন্দ সোনওয়াল, বিএল সন্তোষরা। প্রত্যাশামতোই এই কমিটিতে রয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংসদীয় বোর্ডের পাশাপাশি ১৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিটিও গড়ে দিয়েছে বিজেপি। তাতে সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন ভুপেন্দ্র যাদব, বিএল সন্তোষ (BL Santosh), ওম মাথুররা। এই নির্বাচন কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সদ্য মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়া দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুটি কমিটির কোনওটিতেই নাম নেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। উত্তরপ্রদেশে বিরাট সাফল্যের পর যোগী এই কমিটিগুলিতে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম শিশুদেরও লাগবে পুরো ভাড়া! IRCTC-র টিকিট কাটার নিয়মে বড় বদল]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপির মহাগুরুত্বপূর্ণ এই দু’টি কমিটির একটিতেও কোনও মুসলিম মুখ নেই। এর আগে দলের নির্বাচন কমিটিতে ছিলেন শাহনওয়াজ হুসেন। তিনিও বাদ পড়েছেন। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের দু’টি শীর্ষ কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি স্থান পাননি। এরাজ্য থেকে এতজন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও দলের নির্ণায়ক কমিটিগুলিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধির স্থান না পাওয়াটা বঞ্চনার শামিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।