সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: নয়ডার (Noida) আকাশ ফুটো করা টুইন টাওয়ারের (Twin Tower) আয়ু আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রবিবার দুপুর গড়ালেই মৃত্যুক্ষণ! ধ্বংসকাজে সময় লাগেবে ৯ সেকেন্ড। ইতিমধ্যে তার জন্য ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক রাখা হয়েছে যমজ অট্টালিকায়। তারপরের কাজ শুধু একটি বোতামে চাপ দেওয়া। ৪০ তলা টুইন টাওয়ার ভাঙার কাজে যাতে কোনও বিপদ না হয় তার জন্য একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। তারপরেও এলাকাবাসীর মন থেকে আশঙ্কা কাটছে না। তাদের বাড়ি সুরক্ষিত থাকবে তো? অত বড় দু’টি টাওয়ার ভাঙায় এলাকার কতখানি ক্ষতি হতে পারে?
বিস্ফোরকের ব্যবহারে টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে প্রচুর ধুলো তৈরি হবে। এবং তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, ভূ-গর্ভস্থ নির্মাণ ভাঙলে এতখানি দূষণের আশঙ্কা ছিল না, মাটির উপরেই ধ্বংসকাজে যতখানি হবে। সেই দূষণকে কীভাবে সামাল দেয় প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার। ঠিক দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনো হবে বিস্ফোরণ। ধ্বংসকাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জলের ধারার মতো মাটিতে মিশে যাবে টুইন টাওয়ার। এর ফলে বাতাসে ধুলো ছড়ালেও তা একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেই থাকবে। ৯ সেকেন্ডের বিস্ফোরণ হলেও ধুলো থিতিয়ে যেতে সময় লাগবে ১২ সেকেন্ড।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতার অজানা ইতিহাস জানতে দেখুন দূরদর্শনের ধারাবাহিক’, আরজি প্রধানমন্ত্রীর]
ধুলোয় ও অন্য কোনও ভাবে যাতে স্থানীয়রা অসুবিধায় না পড়েন সে কথা ভেবেই রবিবার সকাল থেকে জোড়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। একই কারণে বিস্ফোরণের আগেভাগে বন্ধ থাকবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। এছাড়াও যমজ অট্টালিকার ৪৫০ মিটারের মধ্যে সব রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে। পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহের কাজ বন্ধ থাকছে। দুপুর একটা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদেরও সরিয়ে ফেলা হবে টুইন টাওয়ার এলাকা থেকে। বিপদ এড়াতে তৈরি থাকছে দমকল থেকে অ্যাম্বুলেন্স। নিকটবর্তী হাসপাতালে ৫০টি বেড বুক করেছে প্রশাসন। তৈরি থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দল।
[আরও পড়ুন: স্টেশনে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশু চুরি! ভাইরাল ভিডিও দেখে শিউরে উঠল নেটদুনিয়া]
তবু স্থানীয় বাড়িগুলি ধুলোয় ভরে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। ঘরের ভিতরে যাতে ধুলো না ঢোকে তা নিশ্চিত করতে বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে প্রশাসন তৈরি। ধুলো দূর করতে জলের ট্যাঙ্কার, ‘স্মগ গান’ ব্যবহার করা হবে। রাস্তায় ধুলোর আস্তরণ সাফ করতে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের আরও তরফে জানানো হয়েছে, বহুতল ভাঙার পর যে ধ্বংসস্তূপ থাকবে, তা পরিষ্কার করতে তিন মাস সময় লাগবে। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে বেআইনি নির্মাণ এই টুইট টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।