সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন কিছু আধিকারিক। তার ফলে দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকছে না। কিন্তু কোভিড অতিমারীর মোকাবিলা করতে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। সেই কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করা আধিকারিকদের ছাঁটাই করতে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন (Kim Jung Un)। সেদেশের জাতীয় মিডিয়া এই কথা ঘোষণা করেছে।
কোভিড অতিমারীর প্রকোপে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রবিবার দেশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম। আলোচনায় উঠে আসে, যে সমস্ত আধিকারিকরা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘ভুল ও অবৈপ্লবিক’ কাজকর্ম করছে, তাদেরকে ছেঁটে ফেলা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে গোটা দেশের শাসনভার নিজের হাতেই রাখতে চান কিম। ইতিমধ্যেই কোভিড অতিমারী ও পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কারণে ধুঁকছে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে দেশবাসী কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে মদত থাকতে পারে দেশের আমলাদেরও। সেই কারণেই আধিকারিকদের শাস্তি দিতে চাইছে কিমের প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রবাসীদের দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কুয়েতের]
দলের নানা কমিটিকেও বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন কিম। বলা হয়েছে, দলের একচেটিয়া নেতৃত্ব কায়েম রাখতে হবে। এছাড়াও শৃঙ্খলা মেনে দলের নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে হবে। এর আগেও দেশের মধ্যে ‘সমাজতন্ত্র বিরোধী’ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কিম।
প্রসঙ্গত, কিম প্রশাসন অস্বীকার করলেও উত্তর কোরিয়ায় কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশের আড়াই কোটি মানুষের কেউই টিকা পাননি। কিন্তু তাতেও ভ্রূক্ষেপ নেই কিমের। কিছুদিন আগে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে দেশে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিলেন কিম। তারপর লকডাউন তুলে নিলেও ফের সেদেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। তার ফলে আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, জনরোষের ভয়েই নিজের হাতে শাসনভার রাখতে চাইছেন কিম।
[আরও পড়ুন:ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: ৩ ঘণ্টার জেরায় আপাতত ইতি, ইডি দপ্তর থেকে বেরলেন রাহুল গান্ধী]