সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দশক থেকে উত্তর কোরিয়ায় রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে শীর্ষ সামরিক কর্তাদের এই মধুচক্রগুলির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এহেন অবস্থায় মসনদে বসেই দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন কিম জং উন (Kim Jong Un)। এবার ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার সরকারি আধিকারিককে প্রাণদণ্ড দিলেন কিম।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া, প্রয়োগ করা হল পুতিনকন্যার শরীরে]
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়া সূত্রে খবর, জুলাই মাসের ২০ তারিখ রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। এছাড়াও আরও দুই ব্যক্তিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সার্বজনিক স্নানঘরগুলিতে চলত মধুচক্র। সেখানে টাকা ফেলে যৌনতায় মেতে ওঠতেন বহু সরকারি আমলা ও নেতা। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের প্রায় সকলেই পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। ওই কলেজগুলিকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান দিতেন কিম। উত্তর কোরিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাবাস ও শ্রমের সাজা হয়ে থাকে। তবে অভিযুক্তদের সোজা গুলি করার নিদান দেন কিম। পিয়ংইয়ং পৌরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘প্রকাশ্যেই গুলি করা হয় ওদের। চার জন্য পার্টির পদস্থ নেতা ছিল এবং দু’জন দালাল।’ তবে এতেই তদন্ত বন্ধ হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার দাপুটে শাসক।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে উত্তর কোরিয়ার সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এক বিতর্কিত নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেবার কিশোর-কিশোরীদের যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন কিম। শুধু তাই নয়, কৈশোরকালে যৌনতা দেশদ্রোহীতার মতো অপরাধ বলেই সাফ জানিয়েছিলেন তিনি। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে উত্তর কোরিয়ায় যৌনতাকে আইনত নিষিদ্ধ বলেই গণ্য করা হয়। কিন্তু, আইনকে ফাঁকি দিয়ে সেই দেশের একাধিক প্রান্তের হাইস্কুলের পড়ুয়ারা যৌনতায় মত্ত হয়ে উঠেছিল। আর সেই খবর কানে পৌঁছতেই বেজায় চটে গিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসক কিম।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ান সফরে মার্কিন আধিকারিক, শক্তি প্রদর্শনে যুদ্ধবিমান পাঠাল চিন]
The post মধুচক্র নিয়ে সরগরম উত্তর কোরিয়ার রাজনীতি, কিমের নির্দেশে হত্যা সরকারি আধিকারিকদের appeared first on Sangbad Pratidin.