নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজস্থানে (Rajasthan,) শচীন পাইলট (Sachin Pilot) নতুন দল করলে, তা তাদেরই গলার কাঁটা হতে পারে এই শঙ্কায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবারই তিনি হাত ছেড়ে ‘প্রগতিশীল কংগ্রেস’ নামে নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছেন, এমনটাই শোনা গিয়েছে। পাইলট নতুন দল ঘোষণা করলে স্বাভাবিকভাবেই যে কংগ্রেসের (Congress) চাপ বাড়বে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তাতে বিজেপিকেও যে প্রবল চাপের মুখে পড়তে হবে সেকথা খোদ বিজেপির নেতারাই স্বীকার করছেন।
রাজস্থানের এক প্রথম সারির বিজেপি নেতার কথায়, “রাজস্থানের গুর্জররা বরাবর বিজেপির ভোটারই ছিল। গতবার তারা শচীন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, এই আশায় বিজেপির সঙ্গে ছেড়ে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল। যার ফলে পূর্ব রাজস্থানের ২৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি একটি আসনও পায়নি। পাইলট নতুন দল করলে গুর্জররা তাঁর দিকেই যে ঝুঁকবেন সেই সম্ভাবনা প্রবল। তাতে আমাদের অসুবিধাই হবে।” বস্তুত, দুশো আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ৩০-৩৫টি আসনের ফলাফলের নির্ণায়ক গুর্জররা। তাই শচীন দল করবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিজেপির ওই নেতা। তিনি বলেছেন, “শচীন দোলাচলে রয়েছেন। কোনও সময় তিনি অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বয়স দেখে কংগ্রেসে থেকে যাওয়ার কথা ভাবেন। আবার যখন তাঁর কর্মকান্ড দেখেন দল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন।”
[আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করলেন প্রেমিক]
এদিকে রাজস্থানের পরিস্থিতি যে জটিল তা বুঝতে পেরে বুধাবর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে দিল্লি ডেকে বৈঠক করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। এতদিন পর্যন্ত বসুন্ধরাকে গুরুত্ব না দিলেও কর্নাটকের ভোটে স্থানীয় নেতৃত্বের অভাব বিজেপির চোখ খুলে দিয়েছে। রাজস্থানের ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য বসুন্ধরাকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। অন্যদিকে, আবার কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী তথা রাজস্থানের যোধপুরের সাংসদ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এদিনই বিজেপির সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদি সরকারের ন’ বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছেন। যদিও তা শেষ পর্যন্ত রাজস্থান ভোটের ইস্যুতে গিয়েই শেষে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাটনায় বিরোধী বৈঠক ২৩ জুন, একসঙ্গে থাকবেন রাহুল-মমতা-কেজরিওয়াল]
শেখাওয়াত তাঁর দপ্তরের জল জীবন মিশনের আওতায় ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পের কাজের নিরিখে তাঁর নিজের রাজ্য রাজস্থান যে পিছনের সারিতে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে দায় ঠেলেছেন সেখানকার কংগ্রেস সরকারের দিকে। বলেছেন, “রাজস্থানের জন্য সবথেকে বেশি বরাদ্দ হয়েছে অথচ সেখানকার সরকার গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য কাজ সেভাবে হয়নি। সেখানকার সরকার গদি বাঁচাতে ব্যস্ত তাই রাজস্থান প্রগতির শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে।” মন্ত্রী যতই দায় ঠেলার চেষ্টা করুন না কেন জল যে রাজস্থান নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু তা সকলেই জানেন।