বিপ্লব চন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দুর্গাপুজোয় কলকাতায়, কালীপুজোয় জলপাইগুড়িতে, আর এবার কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2021) বিশেষ আকর্ষণ বুর্জ খালিফা। দুবাইয়ের বুর্জ খালিফার আদলেই মণ্ডপ তৈরি করেছে কৃষ্ণনগরের স্বীকৃতি ক্লাব। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
চলতি বছরের দুর্গাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল শ্রীভূমি ক্লাবের বুর্জ খালিফা (Burj Khalifa) মণ্ডপ। স্বাভাবিকভাবেই উপচে পড়েছিল ভিড়। কিন্তু কিছুদিন পরই তাতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বুর্জ খলিফার লেজার শো’র ফলে বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তাই সপ্তমীর রাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের মণ্ডপের মোহময়ী লেজার শো। পরবর্তীতে আলোয় রাশ টানা হয়। শেষমেশ মণ্ডপে প্রবেশে ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে সোনার মাস্ক তৈরি করলেন বজবজের ব্যবসায়ী, দাম জানলে আঁতকে উঠবেন]
কালীপুজোয় বুর্জ খলিফার আদলে মণ্ডপ তৈরি হয় জলপাইগুড়ির গোমস্তা পাড়া নবারুণ সংঘ ও পাঠাগারে। সেখানেও ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। কৃষ্ণপুরের বুর্জ খালিফা মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজোর পর থেকে। ক্লাবের সদস্য সুমাল্য ঘোষ জানান, দশমীর পরদিন থেকেই খুঁটি পুজের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কলকাতার শ্রীভূমি ক্লাবের মণ্ডপ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাঁরা। তারপর ভিন্ন ধাঁচে কৃষ্ণনগরের বুর্জ খালিফা মণ্ডপ তৈরি করা হয়।
সুমাল্য ঘোষ জানান, মণ্ডপ তৈরি করার জন্য প্রায় সত্তর থেকে আশি জন কারিগর কাজ দিন-রাত কাজ করেছেন। ওই এলাকায় থেকেই কাজ করেছেন প্রত্যেকে। প্রতিদিন প্রায় রাত এগারোটা পর্যন্ত কাজ করতের কারিগররা। প্রশাসনের পরামর্শ মেনেই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপে ছ’টি গেট তৈরি করা হয়েছে। দু’টি গেট ঢোকার জন্য। চারটি গেট মণ্ডপ থেকে বের হওয়ার জন্য। ডোর স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। দর্শনার্থীদের মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে।
সুমাল্যবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোভিডবিধি মানার কথা জানিয়েছিলেন তা সবই মানা হচ্ছে মণ্ডপে। কোনও তারকা নন, বীণাপানি ঘোষ নামে ৯২ বছরের এক মহিলা মণ্ডপের উদ্বোধন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ২৫ জন বৃদ্ধা। যাঁদের বয়স ৭৫ থেকে ৮০ বছর। মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা থেকে প্রায় ৩৫ জন বাউন্সার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের পাশাপাশিই রয়েছেন ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবীরা।